নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোরের মণিরাপুরে মালিক আতাউর রহমান পলাশ এক ছাগলের দাম ৭০ হাজার টাকা হাঁকিয়েছেন। এক ব্যাপারী মাস দুয়েক আগে তার ছাগলের দাম ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বলেছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি সেই দামে বিক্রিতে। পলাশ বলেন, ‘ধানের বিচলির সঙ্গে খৈল ও ভুষি মিশিয়ে এবং গাছের পাতা খাইয়ে ছাগলটি এত বড় করেছি। ৭০ হাজার টাকার কমে ছাগল বিক্রি করব না।’ পলাশ মণিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা গ্রামের বাশিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় মুদি দোকানি।
পলাশ জানান, আড়াই বছর আগে সাড়ে আট হাজার টাকায় দেড় মাস বয়সী একটি ছাগলের বাচ্চা কিনে আনেন বড় ভাইয়ের শ্বশুর যশোরের চৌগাছার সোহরাবের কাছ থেকে। তিনি সেসময় থেকেই দোকানদারির পাশাপাশি ছাগলটি পালন করছেন।
তিনি আরও জানান, দুই মাস আগে এক ব্যাপারী ছাগলের দাম ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছিলেন। এবারের ঈদুল আজহায় ছাগলটি বিক্রি করতে চান ৭০-৮০ হাজার টাকায়। পলাশ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যদি স্থানীয় বাজারে এই দাম না পান, তাহলে ছাগল চট্টগ্রামের হাটে নিয়ে যাবেন।
মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার ছিদ্দিক বলেন, ছাগলটি ভারতের যমুনা পারি জাতের যা স্থানীয়ভাবে রামছাগল হিসেবে পরিচিত। কয়েক মাস আগে কৃষি মেলায় ছাগলটি আনা হয়েছিল। অনেকে এত বড় ছাগল দেখে অবাক হন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি