২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:১৯

ওজন কমাতে হেলদি স্ন্যাকস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রোগা হওয়ার জন্য একটু আধটু কসরত অনেকেই করছেন। কেউ সহজেই মেদ ঝরিয়ে ফেলছেন, কেউ আবার সারা দিন প্রায় ভারী কিছু না খেয়েও ওজন কমাতে পারছেন না। সহজে ওজন কমানোর সিক্রেট মূল খাবারে নয়, লুকিয়ে আছে খাবারের মাঝখানে হালকা স্ন্যাকসগুলোতেই। রোগা হতে চাইলে দুটো মিলের মাঝে বেশি সময়ের ব্যবধান না রেখে দু’ঘণ্টা অন্তর হালকা খাবার খাওয়া উচিত, এই রুলবুক এখন অনেকেই ফলো করছেন।

শুধু প্রশ্নটা থেকে যায় কী খাব? স্ন্যাকস নিয়ে অনেকেরই মনে ভুল ধারণা রয়েছে। শুধু কেক, কুকিজ, চিপস নয়। স্ন্যাকসও হতে হবে পুষ্টিকর। যখনই আমরা এই সব খাবারের বদলে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকস বেছে নিই, তখন আমাদের খিদে যেমন মেটে, তেমনই তা স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাসও মেনে চলতে সাহায্য করে। কারণ, স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস ডিনার বা লাঞ্চে আমাদের অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তে শর্করার মাত্রাও।

জেনে নিন কী খেতে পারেন। সবচেয়ে বেশি অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় সাধারণত বিকেল ৫-৬টার মধ্যে যে খিদে পায়, সেই সময়ই মূলত বাইরের খাবারে পেট ভরাই আমরা। বাড়ি থেকে অনেকেই লাঞ্চ বক্স অফিসে নিয়ে গেলেও বিকেলে হাতের কাছে যা পাওয়া যায় বা অস্বাস্থ্যকর ভাজাভুজি, মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে খিদে মেটানোর প্রবণতা দেখা যায়। বিকেলের অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রভাব ফেলে ডিনারেও।

অফিস ডেস্ক বা নিজের ব্যাগেই রেখে দিন ছোলা বা পপকর্নের মতো স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস। এছাড়া সাথে রাখুন ছোট টিফিন বক্স। আর তাতে রাখুন মিক্সড ফ্রুট, ক্রিম ক্রেকার বিস্কিট, চিড়ে ভাজা, মুড়ি বাদাম, টোস্ট(বাটার দিয়ে),বাদাম কিসমিস ইত্যাদি। এই সব স্ন্যাকস বিকেলে খিদে মেটানোর পাশাপাশি পুষ্টিকর ডায়েট মেনে চলতেও সাহায্য করবে।

এছাড়া চা কফি সারাদিনে খুব বেশি পান করবেন না। প্রচুর পানি পান করুন। আর যদি একটু উচ্চমানের হেলদি স্ন্যাকস চান, তাহলে ক্যারি করুন ফ্ল্যাক্সসিডস, রোস্টেড সিডস, আখরোট। অনেক হেলথ স্টোরেই এগুলো পাওয়া যায়। নিজেকে ফ্রেশ আর তরতাজা রাখতে হেলদি ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ ।

তথ্য ও ছবি : ইন্টারনেট

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :আগস্ট ১৩, ২০১৭ ১২:৩৩ অপরাহ্ণ