আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ক্ষতিকারক কিটনাশক পদার্থযুক্ত ডিমে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপে। ইতিমধ্যে ইউরোপের পনেরটি দেশে বিষাক্ত ডিম শনাক্ত করা গেছে বলে জানা গেছে। ইউরোপিয়ান কমিশন জানিয়েছে, ক্ষতিকারক ফিপ্রোনিল যুক্ত এসব ডিম ইইউ দেশগুলোতে ঢুকে পড়েছে। বিবিসির সংবাদে প্রকাশ।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়া এবং ডেনমার্ক এ ধরণের ডিম ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও সুইজারল্যান্ড ও হংকং-এও এ ডিম শনাক্ত করা হয়েছে।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দেশগুলোর মন্ত্রীদের নিয়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে কমিশন। সেইসাথে দেশগুলোকে এ বিষয়ে একে অপরকে দোষারোপ করতে মানা করেছেন কমিশনের খাদ্য নিরাপত্তা প্রধান। ইতিমধ্যে বেলজিয়াম ও ডেনমার্কের মধ্যে নকল ডিম নিয়ে উত্তপ্ততা ছড়িয়েছে।
মূলত নেদারল্যান্ড দিয়ে নকল ডিম ঢুকছে ইউরোপের দেশগুলোতে। বেলজিয়ামের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, নেদারল্যান্ডের ফার্ম থেকে পাঠানো ডিমে কীটনাশক জাতীয় বিষ থাকতে পারে, জুন মাসেই তারা এ বিষয়ে জানতে পারেন। ডিমে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ফিপ্রোনিল থাকার বিষয়টিও সে সময় জানতে পারেন তারা। কিন্তু বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল।
ফিপ্রোনিল মূলত পোল্ট্রি জাতীয় প্রাণীর চামড়ার উকুন এবং অন্যান্য কীট মারার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই বিষাক্ত কিটনাশক পদার্থটির ব্যবহার খাদ্য শিল্পে নিষিদ্ধ করেছে ইউই। এ কিটনাষক মানুষের কিডনি, লিভার এবং থাইরয়েড গ্রন্থিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র ড্যানিয়েল রোজারিও শুক্রবার বলেছেন, ফিপ্রোনিল ব্যবহার করার কারণে নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, জার্মানি ও ফ্রান্সের ফার্মগুলো বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সব দেশে সুপার মার্কেট থেকে কোটি কোটি ডিম সরিয়ে ফেলা হয়েছে ইতিমধ্যে।
ইউরোপে ডিমের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ নেদারল্যান্ড। প্রতিবছর প্রায় এক হাজার কোটির মতো ডিম উৎপাদন করে দেশটি। ইতিমধ্যে দেশটির ১৮০টি মুরগির খামার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ