নিজস্ব প্রতিবেদক:
উজানের ঢল আর ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে শনিবার সকাল ৯টা থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সবকটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রেখেছে । কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে তিস্তা ছাড়াও পানি বেড়েছে বুড়ি তিস্তা, চারালকাটা, বুড়িখোড়া, যমুনেশ্বরী, খড়খড়িয়া, দেওনাই, খেড়ুয়া, শালকি, নাউতারা, কুমলাই, ধুম, ধাইজান, চিকলি, আউলিয়া খানা নদীতে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, নদী বেষ্টিত হওয়ায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। গত রাত থেকে পানি বাড়া শুরু হলে রাতেই ওইসব বাড়িঘর পানিতে ডুবে যায়। উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদী বেষ্টিতে আশপাশ দশটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়ি ঘর। এদিকে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা সংলগ্ন বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে বন্যা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এ ছাড়া ভারি বর্ষণে জেলার ছোট-বড় সব কয়েকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা জমির সদ্য রোপন করা আমন ধান, সবজিসহ নানা ফসল ও রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী, সিঙ্গীমারী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের কাকিনা, তুষভাণ্ডার, আদিতমারীর মহিষখোচা, সদর উপজেলার গোকুণ্ডা, রাজপুর ও খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন তিস্তা নদী সংলগ্ন হওয়ায় কিছু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকার কয়েক হাজার পরিবার বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি