নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর আশপাশের এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় জেলার ৭টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শনি ও রোববারের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বায়েজদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বন্যার পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপজেলাগুলো হলো- সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই ও ধর্মপাশা উপজেলা। এদিকে শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ নিবার্হী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, সকাল ৬টায় সুরমা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মিটারে ৮ দশমিক ৯৫ মিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আরো জানায়, জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সুরমা নদীতে ৮.২৫ মিটার পানি স্বাভাবিক। তবে এর উপরে হলেই বিপদসীমা অতিক্রম করে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিকুর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল ৬টায় ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে গড় বৃষ্টিপাত ২০৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়। তিনি কেন্দ্রীয় বন্যা পূর্বাবাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে যে পরিমাণ পানি বাড়ছে তার চেয়ে বেশি পানি উজান থেকে আসছে।
শুক্রবার জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানান, টানা বর্ষণে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় মানুষের পাশে থাকতে জেলা প্রশাসন পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সব উপজেলায় এবং ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এখান থেকে জেলার বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি