আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় গুয়াম ঘাঁটির কাছাকাছি এলাকায় চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় উত্তর কোরিয়া চারটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে প্রস্তুত। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, পিয়ংইয়ংয়ের নেতা কিম জং-উন এই পরিকল্পনা অনুমোদন করলে হওয়াসং-১২ রকেট জাপানের ওপর দিয়ে গুয়াম থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সাগরে ফেলা হবে।
গুয়ামে মার্কিন বিমানঘাঁটি রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বোমারু বিমানঘাঁটি। সেখানে সাবমেরিন ও কোস্টগার্ড ইউনিটও আছে।
গতকাল বুধবার উত্তর কোরিয়া গুয়াম ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়। পরে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এক বিবৃতির বরাত দিয়ে জানায়, দেশটির সেনাবাহিনী চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় হামলা চালাতে ‘পরিকল্পনা চূড়ান্ত’ করেছে। এখন শুধু কিম জং-উনের অনুমোদনের অপেক্ষা।
সেনাপ্রধান জেনারেল কিম রাক গিউমের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, দ্য হওয়াসং-১২ রকেটগুলো কেপিএ (কোরিয়ান পিপলস আর্মি) ছুড়বে। এগুলো জাপানের শিমানে, হিরোশিমা ও কোইচি এলাকার আকাশ দিয়ে উড়ে যাবে। এগুলো ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে ৩৩৫৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে গুয়াম ঘাঁটি থেকে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে সাগরে পড়বে।
হওয়াসং নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উত্তর কোরিয়া নিজেরাই তৈরি করেছে। এগুলো মাঝারি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। বিবৃতিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবারের ট্রাম্পের হুমকি ‘ফালতু কথা’। যেসব মানুষ আজেবাজে কথা বলে, তাকে শুধু কথা বলে দমানো যাবে না, শক্তি প্রয়োগ করলেই কেবল কাজ হবে।
ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন অবরোধ অনুমোদন দেয় জাতিসংঘ। এই অবরোধকে পিয়ংইয়ং তার দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে। অবরোধ আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে সমুচিত জবাব দেওয়ারও ঘোষণা দেয় দেশটি।
এর পরপরই মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়াকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ফের হামলার হুমকি দিলে উত্তর কোরিয়াকে আগ্রাসী জবাব দেওয়া হবে। পিয়ংইয়ংকে এমন জবাব দেওয়া হবে, যা আগে কখনো দেখেনি বিশ্ব। জবাবে পিয়ংইয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই হুমকির নিন্দা জানায়।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ