আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
স্কুল শিক্ষিকা থেকে প্রণয়িনী এবং স্ত্রী হওয়া ব্রিজিতের জন্য ফার্স্ট লেডির পদ তৈরি করতে ব্যর্থ হলেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রন। ব্যাপক সমালোচনার মুখে তাকে ফার্স্ট লেডি পদ সৃষ্টির পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হলো। বিবিসির খবরে জানা যায় নির্বাচনী প্রচারের সময় টিএফ১ টেলিভিশনকে ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে স্ত্রীর জন্য ‘মর্যাদাপূর্ণ পদ’ সৃষ্টি করতে চান। এ বিষয়ে ব্রিজিৎও বলবে, তার কী হতে পছন্দ। কিন্তু স্ত্রীকে নিয়ে ম্যাক্রনের পরিকল্পনায় ছাই পড়ল। যখন তিনি এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে ভাবছেন, তখন একটি অনলাইন পিটিশনে তার উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার স্বাক্ষর পড়েছে। ফরাসি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ব্রিজিৎ ম্যাক্রনের অবস্থান ঠিক করা হবে কিন্তু সংবিধান পরিবর্তন করা হবে না। অর্থাৎ ফার্স্ট লেডি পদমর্যাদা পাচ্ছেন না তিনি। ফ্রান্সে প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর জন্য এলিসি প্রাসাদে একটি অফিস ও এক-দুজন সাহায্যকারী থাকলেও সাংবিধানিকভাবে ফার্স্ট লেডি পদ নেই। ম্যাক্রোঁ তার স্ত্রীর জন্য এ ধরনের পদ তৈরি করতে চাইলে তাকে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। কিন্তু এরই মধ্যে এত বেশি সমালোচনা ও বিরোধিতা এসেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের উদ্যোগ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। নেপোলিয়ন বোনাপার্টের পর সবচেয়ে কমবয়সী ফরাসী রাষ্ট্রপ্রধান ম্যাক্রনের বয়স ৩৯ বছর। আর স্ত্রী ব্রিজিৎ-এর বয়স ৬৪ বছর।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ