নিজস্ব প্রতিবেদক:
সৈয়দপুর কলেজ কেন্দ্রে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান ডিগ্রি পরীক্ষায় এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে নকল সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা যায়, বাউবির ডিগ্রি পরীক্ষার পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন ওই কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক কোহিনুর বেগম। বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি অর্থ চুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ ও নকল করায় সহযোগিতা কওে আসছেন। তার কথা মতো কাঙ্খিত অংকের টাকা না দিলে পরীক্ষার্থীদের নানা অজুহাতে নাজেহাল বা খাতা কেড়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গত ৪ আগষ্ট ইসলামিক স্টাডিজ পরীক্ষায় ওই প্রভাষক অন্যন্য ছাত্রদের সামনে নকল খোজার নামে এক পরীক্ষার্থীনির শরীরের বিভিন্ন অংশে তল্লাশী চালান। এতে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কেন্দ্রের অনেক পক্ষার্থী অভিযোগ করেন, কোহিনুর ম্যাডামের সাথে যারা চুক্তিবদ্ধ হন কেবল তারাই অবাধ নকলের সুযোগ পান। তাবাস্সুম নামের এক পরীক্ষার্থী জানান, প্রতিবছর পরীক্ষার সময় কোহিনুর ম্যাডাম মোটা অংকের বাণিজ্য করেন। নকল সরবরাহ ও কেন্দ্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে পরীক্ষার্থী প্রতি ৪ হতে ৫ হাজার টাকা নেয়া অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ওই কলেজের কয়েকজন প্রভাষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কর্তৃপক্ষ গোপন ও প্রকাশ্য তদন্ত করলেই অভিযোগের সত্যতা জানা যাবে। এ ব্যাপারে প্রভাষক কোহিনুর বেগমের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার কওে বলেন, প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। ওই কেন্দ্রের বাউবি পরীক্ষার সমন্বয়কারী নার্জিজ বানু বলেন, অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষার্থীকে নকল সরবরাহের কোন অভিযোগ পাই নি। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যাবস্থা নেয়া হবে। একই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন খোকনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কিছুদিন হলো অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি। বাউবি’র কোন পরীক্ষার দায়িত্ব আমার নেই। তারপরও এর সাথে কলেজের ভাবমূর্তি জড়িত তাই এ ধরণের ঘটনা ঘটলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ