নিজস্ব প্রতিবেদক:
মরণোত্তর নয়, জীবত থাকতেই আপনাদের বিচার হবে। ‘দুর্নীতিবাজ’ আওয়ামী নেতাদেরকে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘নির্দলীয় সহায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক নাগরিক সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারি দলের এক নেতা বলেছেন- তারা নাকি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতে চান। আমি তাদের বলব- আপনারা দেশে যে পরিমাণে অপশাসন ও দুর্নীতি করছেন তার সীমা নেই। একবার সুষ্ঠু নির্বাচন দেন, জনগণ ভোট দিয়ে দেখিয়ে দিবে। তখন মরণোত্তর নয়, জীবিত থাকতেই আপনাদের বিচার হবে।’ বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে কেমন নির্বাচন হয় তা আমরা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দেখেছি। এই সরকারের অধীনে ১৫৩ জন এমপি বিনাভোটে কিভাবে নির্বাচিত হয়ে যায় তা আমরা দেখেছি। সুতরাং বর্তমান সরকারের অধীনে কোনোভাবেই অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।’ বর্তমান সরকার দেশের গণতন্ত্রকে জবাই করেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগই দেশে প্রথম গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারাই একমাত্র দল যারা দেশে প্রথম একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিল। অথচ বিভিন্নভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে।’ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘দেশে আওয়ামী লীগের কোনো সরকার আছে তা আমার চোখে পড়ে না। আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে না, দেশ চালাচ্ছে পুলিশি, র্যা ব ও বিজিবি। পায়েশ মার্কা এই সরকারে বাদাম ও কিসমিসের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইনু ও মেনন সাহেবরা।’
তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ আর দেশে নেই। অনেক আগেই আওয়ামী লীগ কানাগলিতে হারিয়ে গেছে। এখন এই সরকারের আমলে সারা দেশে এখন ধর্ষণের মহাযজ্ঞ চলছে।’ নাগরিক সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ