শিল্প–সাহিত্য ডেস্ক:
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৬তম মহাপ্রয়াণ দিবস আজ। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক ছিলেন। ১৯৪১ সালে (১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ) জোড়াসাঁকোর বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদাসুন্দরী দেবীর চতুর্দশ সন্তান ছিলেন তিনি। ঠাকুরবাড়ির পরিবেশ ছিল সঙ্গীত, সাহিত্য ও নাট্যাভিনয়ে মুখর এবং বাইরের জগতের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ ছিল নিবিড়।
শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন। বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত নর্মাল স্কুলে পড়াকালীন তার বাংলা শিক্ষার ভিত্তি তৈরি হয়। মূলত কবি হিসেবেই রবীন্দ্রনাথের প্রতিভা বিশ্বময় স্বীকৃত।
১৯০১ সালে নৈবেদ্য ও ১৯০৬ সালে খেয়া কাব্যগ্রন্থের পর ১৯১০ সালে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি প্রকাশিত হয়। ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে ভবতারিণীকে সঙ্গী করে নেন রবীন্দ্রনাথ। বিবাহিত জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৬তম মহাপ্রয়াণ দিবস রোববার বিকেল ৪টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বিশেষজ্ঞ বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে ‘রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৭টায় স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছায়ানট। এছাড়াও বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, শিশু একাডেমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ