আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শনিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে সংস্থার সদস্য দেশগুলো ভোট দেন। নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে উত্তর কোরিয়ার রপ্তানি বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি বলেছেন, এ যাবৎকালে কোনো দেশের ওপরই এত কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।
গত মাসে উত্তর কোরিয়া বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর হুঁশিয়ারি ও নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দুটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। সফল পরীক্ষার পর দেশটির নেতা কিম জং উন দাবি করেন, এখন থেকে পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের আওতায় এসেছে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান কড়া সমালোচনা করে। তখনই নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আভাস দেওয়া হয়। নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে উত্তর কোরিয়া কয়লা, লোহা, সিসা ও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি করতে পারবে না । এর ফলে পিয়ংইয়ং বার্ষিক ১শ’ কোটি ডলার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। উত্তর কোরিয়া চীনসহ কিছু দেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে এই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে । এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতিবছর দেশটি রপ্তানি ও বিনিয়োগের মাধ্যম ৩শ’ কোটি ডলার উপার্জন করে থাকে। কিন্তু নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে পিয়ংইয়ং বাৎসরিক এক তৃতীয়াংশ আয় থেকে বঞ্চিত হবে । উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞায় এবার সায় দিয়েছে চীনও। এ কারণে উত্তর কোরিয়া বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত চীনকে কয়লা, লোহা, সিসা ও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি করতে পারবে না ।
অবশ্য চীন এই বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ করে দেয় । তবে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পরও পরমাণু কর্মসূচি থেকে পিয়ংইয়ং সরে আসবে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি