নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে সাত মাস নির্জন বাড়িতে আটকে রেখে এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাদল মিয়ার সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে তার রিমান্ড আবেদন করা হয়।
শনিবার টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মাহবুব আলম সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে বাদলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রেপ্তার বাদল পুলিশের কাছে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাদল মিয়া ভিকটিকমকে তার প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে নিজে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আটকে রেখে সাত মাস ধরে ধর্ষণ করে। শেষ তিন মাস বাদল এলাকায় ছিল না। এ সময় ওই কলেজছাত্রীকে অন্যের মাধ্যমে খাবার পাঠাতো। কিন্তু খাবার না পেয়ে সে অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এতে সে দুর্বল হয়ে পড়ে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘বাদল মিয়াকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানা যাবে।’ উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক কলেজছাত্রীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুমের ওষুধ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে প্রায় সাত মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করেন বাদল মিয়া। গত ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলার রতনপুর কাশেম বাজার এলাকার ওই বাড়ি থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন ওই ছাত্রীর ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিসেট্রট রূপম কান্তি দাসের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ওই ছাত্রী।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ