নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারই ধর্ষকদের প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি। বগুড়ায় ধর্ষণ ও নির্যাতন, শাহবাগে সিদ্দিকুরের দৃষ্টি হরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রদের পেটানো, ক্রসফায়ারে মানুষ হত্যাসহ দেশব্যাপী অরাজকতার প্রতিবাদে নাগরিক ঐক্য এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মান্না বলেন, ‘সরকারি দল করলে এমনকি দলটির শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী হলেও যা ইচ্ছা তাই করা যায়। বগুড়ার ঘটনায় আমরা আবারও তার প্রমাণ পেলাম।’
তিনি বলেন, ‘দেশ এখন সম্পূর্ণ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকারের মন্ত্রীরাও বিচারের নামে একের পর এক ভণ্ডামি করছেন।’ মান্না বলেন, ‘বিচার পেলে গাজীপুরে বাবা-মেয়ে ট্রেনের নিচে মরতে যাবে কেন? যেসব পুলিশ তাদের বিচার সহযোগিতা করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন?’
‘শাহবাগে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুরের চোখ নষ্ট হলো অথচ দোষীদের কোনো শাস্তি হলো না। পুলিশ বলছে, তারা নিজেদের মধ্যে কাঁচ দিয়ে ঢিলাঢিলি করেছে। অথচ মিডিয়ার কাছে ভিডিও ফুটেজ ছিল তার পরও দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। তার মানে পুলিশকে রক্ষা করতে হবে সরকারের। কারণ তারাই যে বর্তমান অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে’, যোগ করেন মান্না।
নাগরিক ঐক্যের এ আহ্বায়ক আরো বলেন, ‘সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তারা ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতে চায়। সেই নির্বাচনে যখন প্রগতিশীল ছাত্ররা প্রতিবাদ করে তাদের ওপর শিক্ষকরা গুণ্ডামি করে। এভাবে কোনো স্বৈর শাসক ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে নাই।’ ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর এ সংসদ আর বৈধ নয়। তাদের আর কোনো কাজ করার অধিকার নেই বলেও মন্তব্য করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন—জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উল্লাহ কায়সার প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ