গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্বপ্না (১৯) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণার অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের তারাটিয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে এসে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পাগলা থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহতের মা সালমা বেগম বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে রাতেই পাগলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আসামীরা সবাই পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার তারাটিয়া গ্রামের মুনজুর আলীর সৌদী আরব প্রবাসী ছেলে রমজান আলী ছুটিতে এসে প্রায় ৭মাস পূর্বে একই গ্রামের প্রবাসী স্বপন মিয়ার মেয়ে স্বপ্না (১৯) কে পারিবারিক ভাবে বিযে করে। সুখেই কাটছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। বিয়ের ২মাস পর স্বামী রমজান আলী সৌদী আরব চলে যায়।
নিহত গৃহবধূর মা সালমা বেগম অভিযোগে জানায়, মেয়ে জামাই বিদেশে চলে যাওয়া পর থেকেই দেবর রোকন সহ পরিবারের লোকজন তাকে প্রায়ই শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। বাবার বাড়িতে আসতে দিতনা। আসলেও রাত্রিযাপন করতে পারতোনা। দেবর রোকন তার মেয়ে স্বপ্নার সাথে খারাপ আচরণসহ বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসতো। ঘটনার আগেরদিন স্বপ্নাকে মারধর করেছে দেবর রোকন। এ খবর পেয়ে ঘটনাদিন স্বপ্নাকে বাবার বাড়িতে আনতে তার শ্বশুরবাড়িতে যাই আমি। মেয়েকে আসতে দিবেনা বলে উল্টো আমাকে অপমান করে। বাড়িতে ফিরে আসার পর আমার মেয়ে মৃত্যুর খবর পেলাম। কান্নাজড়িতকন্ঠে তিনি তার নিস্পাপ মেয়ের হত্যার বিচার দাবী জানান। ঘটনার পর থেকে সবাই গা ঢাকা দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্বাস আলী বলেন, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাগলা থানার ওসি চাঁন মিয়া গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর