আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মহাকাশে ইরান স্যাটেলাইট বহনকারী রকেট পাঠানোর পরই আমেরিকার কড়া পদক্ষেপ। আমেরিকা ইরানের ৬টি কোম্পানির উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ।
বৃহস্পতিবার ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম ঘোষণা করেছিল, স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে রাখতে সক্ষম রকেটের সফল উৎক্ষেপণের কথা। তারপরই আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেনের চিন্তার ভাঁজ বাড়ে কপালে। তারা মনে করছে এই ঘটনা জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করে ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রকল্পের বাড়ন্তেরই সামিল । শুক্রবার ৪ রাষ্ট্র বিবৃতি দিয়ে ইরানকে এ ধরনের আর কোনো পরীক্ষা না করতে বলেছে। মার্কিন সিনেটে ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার উপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরই স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় আমেরিকার ট্রেজারি অফিস অফ ফরেন অ্যাসেট্স কন্ট্রোল ইরানের ৬টি কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়।
ওই কোম্পানিগুলি শাহিদ হিম্মাত ইন্ডাস্ট্রিয়াল গোষ্ঠীর আওতাধীন। ইরানের পরমাণু প্রকল্প, মিসাইল প্রকল্পের অন্যতম সরবরাহকারী কোম্পানি। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী আমেরিকায় ব্যবসা করতে পারবে না ওই কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কোনো কোম্পানি। এমনকি মার্কিন নাগরিকরাও ইরানের জিনিসপত্র ব্যবহার করতে পারবেন না।
ট্রেজারি সচিব স্টিভ নিউচিন বলেন, ‘ইরানের উস্কানিমূলক আচরণ এবং ব্যালিস্টিক মিসাইলের কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। ইরানের এই আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে আমেরিকা সর্বদা পদক্ষেপ করে যাবে।’ জাতিসঙ্ঘে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি নিকি হ্যালি বলেছেন, ইরানকে যতদিন না পর্যন্ত ইরান জাতিসঙ্ঘ প্রস্তাব মানবে ততদিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞার ফল ভুগতে হবে । বিবৃতি দিয়ে হ্যালি জানান, ইরান বরাবরই বিশ্বাস ভাঙতে তৈরি থাকে। বৃহস্পতিবারের আরো একবার সফল উৎক্ষেপণ তা প্রমাণ করল ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু প্রকল্পে ইরান এবং অন্য রাষ্ট্রগুলো নিয়ে ২০১৫ সালে তৈরি হওয়া চুক্তি বারবার পাল্টানোর চেষ্টা করেছেন। তার ফলেই ওই ৬টি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি