উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
উখিয়ায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত প্রথম ও দ্বিতীয় পৃথক ২টি পর্যায়ের বরাদ্ধকৃত ২ কোটি ৬৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ফেরত যাচ্ছে। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাজে অনুপস্থিত শ্রমিকদের নির্ধারিত টাকা কর্তন করে এসব টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রথম পর্যায়ে ১৬৭০ জন শ্রমিক ৪০ দিন কাজ করে বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিভিন্ন কারণে অকারণে তালিকাভুক্ত শ্রমিকেরা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, যথা সময়ে কাজে যোগদান না করা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে কাজ বন্ধ থাকাসহ উল্লেখিত দিনগুলোর মজুরী কর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ গুলো নিয়মিত তদারকি ও প্রত্যক্ষভাবে পরিদর্শন পূর্বক অনুপস্থিত শ্রমিকের বিপরীতে বরাদ্ধকৃত মজুরী কর্তন করে। প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৩৭টি প্রকল্পের বিপরীতে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। অনুরূপ ভাবে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৩৬ টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৬৬৫ জন শ্রমিকের মজুরী বাবদ ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রথম ও ২য় পর্যায়ে পৃথক ২টি পর্যায়ের কর্মসংস্থান কর্মসূচীর বিপরীতে বরাদ্ধকৃত ২ কোটি ৬৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৮০ লক্ষ ফেরত যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সহকারি মিজানুর রহমান মিজান। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান উল্লাহর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাস্তবায়িত হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচীর টাকা ফেরত যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও কত টাকা ফেরত যাচ্ছে তা জানায়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, বিগত সময়ে বাস্তবায়িত হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচী নিয়ে দুদকের মামলা, সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি হয়েছে। কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলতি অর্থ বছরে বাস্তবায়িত প্রতিটি প্রকল্পে নিয়মিত তদারকি করা হয়েছে। যে সমস্ত প্রকল্পে শ্রমিক অনুপস্থিত ছিল তার অনুকূলে বরাদ্ধকৃত মজুরী কর্তন করা হয়েছে। এভাবে কিছু টাকা ফেরত যেতে পারে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতে উক্ত কর্মসূচীর কার্যক্রম নিয়ে যেন প্রশ্নবিদ্ধ হতে না হয় সেজন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর