২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:০২

রোদ ঝলমল ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আভাসটা বুধবার বিকেলেই ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে সেটি সত্য হয়ে দেখা দিল। আকাশ ফুঁড়ে বের হলো রোদ। ঝলমলে রোদ। এতেই প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে টানা বৃষ্টিতে স্থবির হয়ে পড়া রাজধানীর। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সোমবার থেকেই রাজধানীসহ দেশজুড়ে শুরু হয় বৃষ্টি। চলে টানা চার দিন। বুধবার বৃষ্টিতে রাজধানীর সড়কগুলো ডুবে টইটুম্বুর। অলিগলি কোথাও বাকি ছিল না।

জলাবদ্ধতার সঙ্গে যানজট মিলে তৈরি হয় অসহনীয় পরিস্থিতি। রাজধানী শহরে নেমে আসে অচলাবস্থা। স্বাভাবিক জনজীবন হয়ে পড়ে বিপন্ন। কর্মমুখী মানুষের ভোগান্তি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেককেই কোমর পানি পাড়ি দিয়ে যেতে হয়েছে কর্মস্থলে। গাড়ি ছাড়া যেসব কর্মচারী ও দর্শনার্থী নগরীর প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে গেছেন, তাদের হাঁটুপানি ভেঙে আসা-যাওয়া করতে হয়েছে।

বুধবার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্তই রাজধানীতে ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এতে নগরীর সর্বত্র নেমে এসেছিল ভয়াবহ স্থবিরতা। নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে থাকতে দেখা যায়। কোনো কোনো রাস্তায় রিকশার আসন পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেছে।

পরিস্থিতি এতটাই নাজুক ছিল যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের এই পানি সরাতে পাম্প ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তবে বৃহস্পতিবার এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ভোর থেকে ঝলমলে আলোয় কর্মমুখি মানুষেরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। রাস্তার পানিও শুকিয়ে গেছে। তবে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সড়কে খানাখন্দ বেড়ে গেছে।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরও শুনিয়েছে আশার বাণী। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরো হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার রাতে দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারিবর্ষণ হতে পারে। নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে সমুদ্রবন্দরের সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জুলাই ২৭, ২০১৭ ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ