নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুরে পটল আবাদ করে সফলতার মুখ দেখছেন চাষীরা। সারা বছরই এই সব্জির চাহিদা থাকায় দিন দিন বাড়ছে এর আবাদ। যে জমিতে কৃষক ধান পাট আবাদ করতেন, খরচ ও শ্রম কম এর বিপরীতে লাভ বেশী হওয়ায় সেই সকল জমিতেও কৃষক পটলের আবাদ শুরু করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে জেলায় এ বছর দুইশ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হয়েছে।
পটল আবাদের এই সফলতার রাস্তা দেখিয়েছেন ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের চাষী মুকা সরদার। বছর খানের আগে পরীক্ষামূলক ভাবে তিনি এই সব্জির আবাদ শুরু করেন। সফল হন প্রথম বছরেই, লাভও হয় বেশ। আর সে কারণেই তার সিংহভাগ জমিতেই এ বছর অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে পটল আবাদ করেছেন।
তার সফলতা দেখেই নুরজাহান বেগম, গোলজার, আমজাদসহ জেলার প্রায় শতাধীক কৃষক পটল আবাদ শুরু করেছেন এ বছর থেকে। গেল রমজানেই তাদের অনেকেরই লগ্নিকৃত অর্থ উঠে এসেছে বলে জানালেন তারা। পুরো রমজানে ২৫/৩০ টাকা কেজি দরে পটল বিক্রি করেছেন তারা।
কৃষকেরা জানান, পটল আবাদ করতে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৬০/৭০ হাজার টাকা আর ফলন ভাল হলে এক বিঘা থেকে দুই লাখ টাকাও বিক্রি হয়। পটলের লতা রোপণের তিন মাসের মধ্যেই সব্জি তোলা যায়। এর দীর্ঘ ৮/৯ মাস ফলন দেয় একবার লাগানো গাছ।
কৃষিবিদ মো. আবুল বাসার মিয়া বলেন, পটোল এমন একটি সব্জি সারা বছরই এর চাহিদা থাকে। উৎপাদন খরচ কম কিন্তু লাভ বেশী হওয়ায় চাষীরা পটোল আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর এর উপ-পরিচালক জিএম আব্দুর রউফ বলেন, কৃষক ধান পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। আর তাই তারা বিকপ্ল ফসল খুঁজে নিচ্ছে। যাতে তারা লাভবান হতে পারে। এর জন্য কৃষকদের পাশে থেকে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আসছে সরকারের কৃষি বিভাগ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ