২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:৫৮

ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ শপথ নিয়েছেন। সংসদের সেন্ট্রাল হলে সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে তাকে শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার। দেশটির ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে কোবিন্দ দায়িত্ব পালন করবেন।
এ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ রাজ্য সভার চেয়ারম্যান, লোক সভার স্পিকার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ ও প্রত্যেক সাংসদ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
শপথের পরেই নতুন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে গান স্যালুট দেয়া হয়। গান স্যালুটের পরে তিনি সেন্ট্রাল হলে বক্তব্য রাখেন। বিহার রাজ্যের সাবেক গভর্নর কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধীদলীয় প্রার্থী মীরা কুমারকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে। বিজেপির এই প্রার্থী  পেয়েছেন মোট ভোটের দুই-তৃতীয়াংশ। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার  লোকসভা, রাজ্যসভাসহ ১১টি রাজ্যের ভোট গণনা শেষে এ তথ্য জানান। ওই দিন ফল ঘোষণার পর জয়ের প্রতিক্রিয়ায় কোবিন্দ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি এটি একটি মহান দায়িত্ব।’ এদিকে প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন বিজেপি দলীয় কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে জয় পেল । ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতা আরও সুসংহত হল কোবিন্দের এ জয়ের মাধ্যমে। এ নিয়ে ভারতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন দু’জন দলিত সম্প্রদায় থেকে । এর আগে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন কে আর নারায়ণন দলিত সম্প্রদায় থেকে ।
এদিকে গতকাল ২৪ জুলাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মেয়াদ শেষে নরেন্দ্র মোদি তাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানান। ১৭ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এদিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সাংসদ ও বিধায়ক মিলিয়ে মোট চার হাজার ৮৯৬ জন। এরপর ২০ জুলাই সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় ভোটগণনা। আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয় বিকাল ৫টায় ।
রিটার্নিং কর্মকর্তা অনুপ মিশরা জানান, রামনাথ কোবিন্দ নিরাপদ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। আমি ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে  তার নাম ঘোষণা করছি। সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে তফাত রয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের । সাধারণ নির্বাচনে একটি ভোটের মূল্য এক। কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এক জটিল পদ্ধতিতে নির্ধারিত হয় ভোটদাতাদের ভোটের মূল্য। লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যদের একেকজনের ভোটের মূল্য ৭০৮ এবং সেই রাজ্যের বিধানসভার মোট আসন ও জনসংখ্যার নিরিখে রাজ্য বিধানসভার সদস্যদের ভোটের মূল্য নির্ধারিত হয়।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :জুলাই ২৫, ২০১৭ ২:৪৮ অপরাহ্ণ