নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা বর্ষণে খাগড়াছড়িতে ফের পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার কয়েকশ পরিবার। পাহাড়ধসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ১৯ পরিবারসহ দীঘিনালা ও মাটিরাঙ্গায় ঝুঁকিপূর্ন স্থান থেকে ৪৩ পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।
সেমাবার বিকেলে দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন উপজেলার মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নের ১৫ পরিবারকে সরিয়ে কবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রশিদনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে।
অন্যদিকে সন্ধ্যার দিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ৯ পরিবারকে সরিয়ে ওঠানো হয়েছে মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আশ্রয় কেন্দ্রে। পাশাপাশি সন্ধ্যার পরেও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসরতদের সরে আসতে মাইকিং অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পাহাড় ধসে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা জনগণকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে কাজ করছে যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কর্মীরা। খাগড়াছড়ি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার সর্বাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকতে যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
অপরদিকে তিনদিনের টানা বর্ষণে থমকে গেছে পাহাড়ি জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। টানা বর্ষণে জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো। কর্মহীন হয়ে পড়েছে জেলার নিম্নআয়ের মানুষ। বৃষ্টি আর সম্ভাব্য পাহাড়ধসের আশঙ্কায় পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সবমিলিয়ে এক অজানা আতঙ্কে রয়েছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে একমাসের মতো বন্ধ থাকার পর চালু হওয়া খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি সড়কের উপর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় মহালছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলার সাথে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দুই পাশে আটকা পড়েছে অসংখ্য মানুষ।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ