নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রবল বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের একাংশ ধসে পড়েছে। এর ফলে দুই জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ আবারও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত জুনে পাহাড় ধসের ঘটনায় টানা ৩৩ দিন এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
রাঙ্গামাটির সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু মুছা বলেন, ‘খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যান্য সড়কগুলো আবার ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়ি সাপছড়ি এলাকায় সড়কে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো এগুলো হল জিমনিয়াম, স্টেডিয়াম, মেডিকেল কলেজ ছাত্রবাস, রাঙাপানি ভাবনা কেন্দ্র, মোনঘর, মানিকছড়ি প্রিয় মোহন স. প্রাথমিক বিদ্যালয়, তবলছড়ি এনডিসি হিল কোয়াটার। প্রশাসনের মাইকিংয়ের পর অনেকে এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয়রা। আশ্রয় কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক ইফতেখার উদ্দীন আরাফাত বলেন, ‘নতুন কয়েকটি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।’
শনিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাঙ্গামাটিতে। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৮২ মিলিমিটার। সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে জেলায়। ৮৯ মিলিমিটার বা তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতি ভারী বৃষ্টি বলে।
গত ১২ জুন রাতে এমন এক অতি ভারী বৃষ্টিতে পরদিন ভোরে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এই দিনেই এই দুর্যোগে মারা যায় অন্তত ১২০ দিন। এরপর থেকেই বৃষ্টি হলেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জেলায়। আর অন্য সময় আবহাওয়ার সতর্কবার্তা স্থানীয়রা তেমন গা না করলেও এই সময়ে সেটি ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে বাসিন্দাদের কাছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ