নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি ও দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে না, আগামী সংসদ নির্বাচনে যদি তিনি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে সে নির্বাচন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে না। ২০১৪ সালের মত এটাও প্রহসনের নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনে নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা যারা বিরোধী দলে আছি আপনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা বিশ্বাস করি না, এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনি যদি ক্ষমতায় থাকেন সে নির্বাচন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে না। ২০১৪ সালের মত এটাও প্রহসন হবে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হবে।
জনগণ ভোট দিতে চায়, এটা বড় কোনো দাবি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের অধিকার। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি এ দেশের জনগণের দাবি। এই দাবির প্রেক্ষিতে আমাদের একটি দায়িত্ব আছে। তাই আমাদের নেত্রী লন্ডন থেকে ফিরে এসে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের একটি রুপরেখা দিবেন এবং আমাদের বিশ্বাস সেই প্রস্তাব সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সমালচনা করে তিনি বলেন,
যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে কোনো জল্পনা-কল্পনা থাকতো না। বাদ দিলেন কেন? বাদ দিয়েছেন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে। তার প্রমাণ করেছেন ২০১৪ সালের নির্বাচনের নামে প্রহসন করে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে যে নির্বাচন করেছেন তাতে বাংলাদেশের মান সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছেন। ৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধের চেতনা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছেন। এতবড় অপকর্ম পৃথিবীর কেউ করে নাই। এই অপকর্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী জাতির কাছে ক্ষমা চান। এর পর আমরা আপনাকে মেনে নেওয়ার জন্য একটা দিক বের করি। আমাদের নেত্রীর কাছে গিয়ে বলি আপনি ক্ষমা চেয়েছেন, আগে খারাপ ছিলেন এখন ভালো হয়ে গেছেন। আপনি অপকর্ম করবেন, আবার সেটা জাস্টিফাই করার জন্য সংবিধানের দোহাই দিবেন সেটি হবে না।’
আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ