নিজস্ব প্রতিবেদক :
তিনি বলেন, ‘হাওরের অকাল বন্যার জন্য ভারতের সঙ্গে কোনো দিন আলোচনা করা হয়নি। কিন্তু প্রতি বছর হাওরে ভারতের ঢলের কারণে বন্যা হয়। এর সমাধান প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ছোট মিলনায়তনে হাওর অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্ম (হ্যাপ) আয়োজিত হাওরের ফসল রক্ষা বাধের বিপর্যয়, পূনর্বাসনসংক্রান্ত তথ্য ও করনীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাওরের ২ কোটি মানুষের দুর্ভোগ মোকাবিলা করার জন্য হাওর উন্নয়ন অধিদপ্তর যথেষ্ট নয় এমন কথা উল্লেখ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ছোট ছোট কাজের জন্য বিভাগ কিংবা মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। হাওরের জন্য একটা মন্ত্রণালয় করা উচিত।’
হাওর উন্নয়ন অধিদপ্তরকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধিনে দুটি বোর্ড গঠন কিংবা আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করারও সুপারিশ করেন এই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
হাওরের অতি দারিদ্ররা সরকারের ত্রাণ পাচ্ছে, কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো পাচ্ছে না, এমন অভিযোগ তুলে তিনি আরো বলেন, ‘পুরো দেশের খাদ্য হাওরের কারণে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি অফিসের অনেকে বলছে কিছু হবে না। এসব কথা বলে কোনো লাভ হবে না। হাওরের বন্যার কারণে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। হাওরে অভাব শুরু হয়েছে, প্রতিদিন এ অভাব বাড়বে।’
এ সময় হ্যাপ এর পক্ষ থেকে সুপারিশ জানানো হয়। এগুলো হলো-দাদনের হাত থেকে হাওরবাসীকে রক্ষা করা, সেই সঙ্গে মাঘ মাসের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ করা ও একই সঙ্গে হাওরে এ বছর মাছের লিজ না দেওয়া।
এ ছাড়া সরকারের ভালো উদ্যোগ সমন্বয়হীনতার কারণে নষ্ট না হয়, এর জন্য একটি শক্তিশালী একটি মনিটরিং সেল গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান শরিফ, আমিনুল ইসলাম, সদস্য সুবল দাস ও এ কে এম মুসা।
M/M