আশিকুর রহমান,বাঞ্ছারামপুর (প্রতিনিধি):
ব্রাক্ষনবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের হেড কাজি মো. হেলাল( ৩২)মিয়া। কনের আফরুজা আক্তার (১৫)বাড়ী সোনারামপুর গ্রামের ছোট মিয়ার মেয়ে যারা বাল্য বিবাহ হয়,বাল্য বিবাহের। সারা দেশে বিবাহ রেজিষ্ট্রার প্রতিনিধি বা বিয়ের কাজী এবার,-‘নিজেই অমান্য করলো এক নাবালিকা কিশোরীকে নাবালিকা কিশুরি রুপুসদির মহিলা মাদ্রাসা সপ্তম শ্রেনির ছাএী ছিল ২০১৬ সালে এখন ২০১৭ সালে আফরুকা আক্তার নরসিংদীতে পড়াশোনা করতেন।মা- বাবার কথা রাখতে গিয়ে বাল্যবিবাহ-এর মাধ্যমে বিয়ে করে।
উল্লেখিত বাল্যবিবাহের ঘটনাটি সম্পন্ন হওয়ার গত বুধবার দিনের বিবাহ হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলায় সোনারামপু গ্রামে, এক’কান-দু’কান করতে করতে- ‘বিয়ের কাজী,নিজেই নাবালিকাকে বিয়ে করলো’ সকলের মুখে আলোচিত হয়ে উঠল।
আলোচিত বাল্যবিবাহ সমর্কিত সরেজমিনে অনুসন্ধান এবং স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়,-‘কেবল বিয়ের কাজী বাল্য বিবাহ-ই করেই অপরাধ করেননি,সে সাথে বিয়েতে সরকারিভাবে রেজিষ্টার্ড কাবিননামায় নাবালিকা বিয়ের পাত্রী আফরোজা বেগম(১৫) কে মিথ্যে ঘোষনা দেয়।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইউনিয়নের সরকারিভাবে নিয়োগকৃত হেড কাজী হেলালের বিয়ের সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য কর। ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন মিয়া বলেন,কাজীর সাথে আমার কোন পরিচয় নেই,আমার এলাকায় বাল্যবিবাহ ঘটনা জানলে আমি প্রশাসনের সহায়তায় বন্ধ করি,যা আমার নৈতিক দায়িত্ব’!
এদিকে,-‘ইউপি চেয়ারম্যানকে স্বাক্ষী ও এলাকাবাসীর সামনে বাল্য বিবাহ করে নিজেই গর্হিত অপরাধ করেছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী‘হেলাল উদ্দিন-বলেন,-‘আমি অন্যায় করিনি।মেয়েটি নাবালিকা নয় তার জন্ম নিব্ধন আছে। তিনি সাংবাদিক পরিচয় দিলে অনেক অনেক অকথ্য ভাষায় কথা বলেন ।অন্য দিকে তার স্কুল ২০১২ সালে প্রাইমারিতে ২ য় শ্রেনিতে পড়তেন। কনের বড় ভাই ২০১০ সালে সমাপনি পরিক্ষায় উওির্ন হয়,এই হিসাবে ভাই আশিকের বয়স হয় ১৯ তার ছোট এক ভোন,তার পরের জন কনে আফরোজা বেগম। কাজী আরও বলেন যে,আমার শত্রুপক্ষ এটিকে ভিন্ন রুপ দিয়েছে।
বেশ গোপনীয়তার মাধ্যমে করা এই বিয়ে।ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন’-এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হেলাল মিয়া বলেন,-‘সোনারামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহিন কেবল উপস্থিত-ই ছিলেন তা নয়,আমার বিয়েতে উকিল / ১ নং স্বাক্ষিও হয়ে। বিয়ে তদারকিসহ বিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকান্ড সফলভাবে সম্পন্ন করে আমার নববধূ আফরোজাকে আর্শিবাদ করেন।তিনি বিয়ে সম্পর্কে জানেন না,উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান শাহিন এর মোঠফোনে অনেক চেষ্টার পরেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর