আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী নেলসন ম্যান্ডেলা। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং তারপর দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর ইতিবাচক ভূমিকা উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত। তাই বিশ্বব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতা ও দাতব্য কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে তাঁর ৯৯তম জন্মদিন।
ম্যান্ডেলার জন্ম ১৯১৮ সালে। তাঁর বাবা নাম রেখেছিলেন রোলিহ্লাহলা ডালিভুঙ্গা মানডেলা। স্কুলের এক শিক্ষক তাঁর ইংরেজি নাম রাখেন নেলসন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার আপামর মানুষের কাছে তিনি ছিলেন ‘মাদিবা’। ম্যান্ডেলার নব্বই বছরের জীবনকালের প্রায় এক তৃতীয়াংশই কেটেছে কুখ্যাত রবেন দ্বীপের কারাগারে। অথচ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ক্ষমতাসীন শ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ওঠেননি। বরং, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার কাজে তাঁর সব শক্তি, ক্ষমতা ও প্রভাব উজাড় করে দিয়েছেন। বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে রাখেননি, প্রথম কার্যকালের শেষেই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে অবসর নিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় অবদান রাখার জন্য ম্যান্ডেলা এবং রাষ্ট্রপতি এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্ককে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয় ১৯৯৩ সালে। এছাড়া, গত চার দশকে ম্যান্ডলা পেয়েছেন ২৫০টিরও অধিক পুরস্কার। পাশাপাশি, দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি নেতাকে সম্মান জানিয়ে ২০১০ সালে জাতিসংঘ ১৮ জুলাইকে ম্যান্ডেলা দিবস ঘোষণা করা হয়। এ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি শহরে ম্যান্ডেলা ডে পালিত হবে কনসার্ট ও সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে।
অবশেষে, ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর পরলোকগমন করেন কিংবদন্তিদের কিংবদন্তি নেলসন ম্যান্ডেলা।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ