২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৩৪

অনুমতি ছাড়া মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করলে শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মানব দেহের অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন ২০১৭’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। চিকিত্সা বিজ্ঞানের উত্কর্ষের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চিকিত্সা সেবার উন্নয়ন এবং মানব অঙ্গ পাচার বন্ধ ও এর অবৈধ ব্যবসা রোধের লক্ষ্যে খসড়া আইনটি প্রণীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব আশরাফ শামীম সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, সরকার চিকিত্সা বিজ্ঞানের উত্কর্ষের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চিকিত্সা সেবার উন্নয়ন এবং মানব অঙ্গ পাচার বন্ধ ও এর অবৈধ ব্যবসা রোধে আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে কোনো ব্যক্তি অঙ্গদাতা ও গ্রহিতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা এতে কাউকে উত্সাহিত বা প্ররোচিত বা ভীতি প্রদর্শন করলে তার সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বাধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডই হতে পারে। এছাড়া এ আইনের অন্যান্য ধারা অমান্যে বা এ ব্যাপারে কাউকে সহায়তার অপরাধে সর্বোচ্চ ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও সর্বাধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডই হতে পারে। কোন চিকিত্সক এই আইনে অপরাধী সাব্যস্ত হলে তার বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই আইন লংঘিত হলে এর মালিক, পরিচালক ও ম্যানেজার বা অন্য কোনো পদবীধারী যদি প্রমাণ করতে না পারেন যে তাদের জ্ঞাতসারে এ অপরাধ হয়নি এবং তারা এটা রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, তবে তারাও এই আইনে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সম্পর্কিত ১৯৯৯ সালের বিদ্যমান আইনে এর কোন ধারা লংঘনে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড বা সর্বাধিক ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। আইনটি কার্যকরভারে যাত্রা শুরু করলে অঙ্গ সংস্থাপনের জন্য কাউকে আর দেশের বাইরে যেতে হবে না।

দৈনিক দেশজনতা/এন আর

 

প্রকাশ :জুলাই ১৭, ২০১৭ ৮:২৬ অপরাহ্ণ