নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদের ভেতর এক মুয়াজ্জিনকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
গতকাল সোমবার রাতে এশার নামাজের কিছু আগে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের খানপুর এলাকায় মসজিদের ভেতরে তিন যুবক ঢুকে মুয়াজ্জিন মুস্তাফিজুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
রাতে এসপি বলেন, ‘ধর্মীয় বিরোধিতার কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। একটা গোষ্ঠী মনে করে, আহমদিয়ারা সঠিক পথে নেই। তাদের প্রতিপক্ষ মনে করে। আহমদিয়া-বিদ্বেষীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ এরই মধ্যে এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।’
গুরুতর অবস্থায় আহত মুয়াজ্জিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখান থেকে মধ্যরাতে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। মুস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি দিনাজপুরে।
হামলাকারী সন্দেহে আবদুল আহাদ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয়রা পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায়। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আরো দুজন ছিলেন। যদিও তাঁদের নাম তিনি বলছেন না। তিনিও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সুস্থ হলেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম খান জানান, রাতে এশার নামাজের আজান দেওয়ার জন্য মসজিদে আসেন মুস্তাফিজুর। এ সময় তাঁর পেছনে পেছনে মসজিদে প্রবেশ করেন তিন যুবক। তাঁদের হাতে অস্ত্র ছিল। তাঁরা এলোপাতাড়ি মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে আহত করেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তিনজনকে ধাওয়া করে ধরে পিটুনি দেয়। কিন্তু পরে দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। একজনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার খবর পেয়েই জেলার এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম হাসপাতালে ছুটে যান।
M/H