অনলাইন ডেস্ক:
মুশফিকুর রহিম জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ইতিবাচক-নেতিবাচক কত মন্তব্যই তো শুনেছেন তিনি। কিন্তু বিসিবির অন্যতম পরিচালক ও বিপিএলের দল বরিশাল বুলসের স্বত্বাধিকারী আবদুল আওয়াল তাকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সে ধরনের মন্তব্য বা অভিযোগ আগে কখনো শুনেছেন কি না, মনে করতে পারেননি মুশফিক।
মুশফিক গত বিপিএল খেলেছেন বরিশাল বুলসের ‘আইকন’ হিসেবে। যদিও বিসিবির অনুরোধেই রাজি হয়েছিলেন বুলসের হয়ে খেলতে। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ভালো খেললেও মাঝপথে ছন্দ হারিয়ে ফেলে তার দল। পরে শেষ চারেও উঠতে পারেনি বরিশাল।
দলের পারফরম্যান্স যাই হোক, মুশফিকের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। ১২ ম্যাচে ৩৭.৮৮ গড়ে ৩৪১ রান করে দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবার ওপরে। তবে মুশফিকের অধিনায়কত্ব পছন্দ করেননি আবদুল আওয়াল।
গতকাল এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কের ‘শৃঙ্খলা’ ও ‘দায়িত্ববোধ’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম এই মালিক। যা মুশফিককে চরম আঘাত করেছে।
শনিবার মুশফিক বিষয়টি জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে। দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে এ নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে গেলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক।
মুশফিক বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমাকে নিয়ে এমন প্রশ্ন ওঠে না। হ্যাঁ, মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে পারেন। বলতে পারেন আমি ভালো খেলোয়াড় নই। তবে আমার শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে তিনি যে প্রশ্ন তুলেছেন কিংবা আমি খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে পারি না, টিম মিটিংয়ে কথা বলি না—এসব কথা খুব খারাপ লেগেছে।’
ধরা গলায় মুশফিক বলন, ‘মল্লিক ভাই (বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব) বলছেন, ওনারা ব্যাপারটা দেখবেন। আজ আমার সঙ্গে হয়েছে। কাল অন্যদের সঙ্গে যে হবে না, এ নিশ্চয়তা নেই। একজন খেলোয়াড় এতটুকু সম্মান আশা করতেই পারে। দেশকে এত দিন সেবা দিচ্ছি, এতটুকু সম্মান…।’
এ নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, ‘পুরো ব্যাপারটা দেখেছি, শোভনীয় মনে হয়নি। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় দলের অধিনায়ক ও একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে তিনি এভাবে বলতে পারেন না। তাকে ডাকা হয়েছে। আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব। যথাযথ উত্তর না পেলে ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সেটা হতে পারে আর্থিক কিংবা অন্য কোনো শাস্তি।’
দৈনিক দেশজনতা /এন আর