আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছে আফগানিস্তানের রোবোটিক কিশোরীরা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা হুকাবে নিশ্চিত করেছেন, বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে এসব কিশোরীরের যুক্তরাষ্ট্রে আসার ব্যবস্থা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ছয় কিশোরী বল-সরটিং রোবট তৈরি করে।কিন্তু কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে ভিসার আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কিশোরীরা দু’দুবার কাবুলে এসে ভিসা পাননি। তবে এবার স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট হস্তক্ষেপ করায় চলতি মাসেই ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘ফাস্ট গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ওই আন্তর্জাতিক রোবোটিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে কিশোরীরা। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগের মুখপাত্র ডেভিড ল্যাপান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সার্ভিস পররাষ্ট্রদপ্তরের অনুরোধে আফগানিস্তানের ছয় কিশোরীকে আসার অনুমতি দিয়েছে।ভিসা দেওয়ার খবরে ফাস্ট গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক কংগ্রেসম্যান জো সিসটেক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যে ক্ষমতা সেটিকে অন্যদের উপেক্ষা করে নয় বরং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আরো শক্তিশালী করা সম্ভব।’ তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সিরিয়ার একটি শরণার্থীসহ ১৫৭ দেশের ১৬৩টি দলকে এই প্রতিযোগিতায় আসার ব্যবস্থা করে সত্যিই পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে।’ আফগানিস্তানের প্রথম নারী প্রযুক্তিবিদ ও সিটাডেল সফটওয়্যার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী রয়া মাহবুব এই রোবোটিক টিমের স্পন্সর। ভিসা প্রত্যাখ্যানের পর তিনি জানান, মেয়েগুলোকে ভিসা দেওয়া হয়নি খবরটি জানানোর পর তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে। দিনভর কান্নাকাটি করে। প্রযুক্তির জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ম্যাশহ্যাবলকে রয়া মাহবুব বলেন, ‘প্রথমবার ভিসা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর ছাত্রীগুলোর সঙ্গে কথা বলা খুবই কঠিন ছিল। তারা বয়সে তরুণ এবং ভীষণভাবে হতাশ হয়েছিল।’ তবে তিনি এই কিশোরীদের দেশটির অন্যান্য নারীদের জন্য অনুকরণীয় বলে বর্ণনা করেছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা / আই সি :