আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বৃহৎ একটি বরফখণ্ড অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ থেকে ভেঙ্গে সমুদ্রে মিশেছে। বরফখণ্ডটির আয়তন প্রায় ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্যাটেলাইটে এই ঘটনা ধরা পড়ে। এতে দেখা যায় লারসেন সি আইস শেল্ফ এলাকা অতিক্রম করছে বরফখণ্ডটি। বিজ্ঞানীরাও বহুদিন ধরে এমনটা ঘটবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন। লারসেনের বরফে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি বিশাল ফাটল লক্ষ্য করছিলেন তারা। ২০১৪ সাল থেকেই ফাটলটি দ্রুততর হতে থাকে। ফলে বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শিগগিরই সেটি ভেঙ্গে যাবে। ২০০ মিটার গভীরতার এই বরফখণ্ড হয়তো শিগগিরই সমুদ্রের আরো ভেতরে চলে যাবে না। তবে বাতাস এবং ঢেউয়ের তোড়ে এটি হয়তো অ্যান্টার্নকটিকার উত্তর দিকে অবস্থান নিতে পারে। আর তেমনটা ঘটলে তা জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর আগেও স্যাটেলাইট যুগে অ্যান্টার্কটিকা থেকে আরো অন্তত দশটি দানবীয় বরফণ্ড ভেঙ্গে বেরিয়েছে। ২০০০ সালে রস আইস শেল্ফ থেকে ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটারের একটি বরফখণ্ড ভেঙ্গে বেরিয়েছিল। আজও ওই বরফখণ্ডের কিছু টুকরো নিউজিল্যান্ডের পাশ দিয়ে ভেসে যাচ্ছে। ১৯৫৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর আইসব্রেকারের নাবিকরা জানান তারা প্রায় ৩২ হাজার বর্গকিলোমিটারের একটি বরফখণ্ডকে অ্যান্টার্কটিকা ভেঙ্গে আলাদা হয়ে সমুদ্রে ভাসতে দেখেছে। কিন্তু সেসময় কোনো স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ছিল না। ফলে বিষয়টি প্রমাণ করা যায়নি। বিজ্ঞানীদের ধারণা বিশ্ব তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে যে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার ফলেই অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে এমন দানবীয় বরফখণ্ড ভেঙ্গে ভেঙ্গে সমুদ্রে মিশছে। এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মতো সমুদ্র উপকুলীয় দেশগুলোর এক বিশাল এলাকা সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাবে।
দৈনিক দেশজনতা/ আই সি