নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর গ্রামের মৃত ফায়েজ উদ্দিন আরিন্দারের ছেলে হাসান উদ্দিন আরিন্দার বাড়ির শোবারঘর থেকে ৩৫টি বিষধর গোখরা সাপ ও ১৫টি সাপের ডিম পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এই সাপ ও ডিম উদ্ধার করা হয়। পরে একে একে সাপগুলোকেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে এবং ডিমগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে মা সাপকে ধরা যায়নি।
স্থানীয়দের ধারণা, চলতি মৌসুমে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে সাপ ফসলের ক্ষেতে ডিম পারার উপযোগী পরিবেশ না পাওয়ায় মানুষের বসতবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এ ঘটনায় হাসান আলীর বাড়ির লোকজনসহ পুরো গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশুদেরকে তাদের অভিভাবকরা চোখের আড়াল করছেন না। গ্রামবাসীর ধারণা এমন সাপের বাসা এলাকায় আরও অনেক বাড়িতেই থাকতে পারে।
হাসান আলী আরিন্দা জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে টিভি দেখা শেষ করে ঘুমোতে যাওয়ার আগে শয়ন ঘরের মেঝেতে একটি বিষধর সাপ দেখতে পান। এসময় সাপটিকে মেরে বাহিরে ফেলে দেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির অন্য একটি ঘরে আরও একটি সাপ দেখতে পেলে তিনি সেটাকেও মেরে ফেলেন। এসময় ওই ঘরের মেঝেতে একটি গর্ত দেখতে পান তিনি। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই গর্ত খুঁড়ে আরও ১০টি তাজা বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চা পাওয়া গেলে তা মেরে ফেলা হয়। এসময় ওই গর্তে ১৫টি সাপের ডিমও পাওয়া যায়। স্থানীয়রা ওই গর্তের সুত্র ধরে আরও তিনটি গর্তের সন্ধান পায়। সেখানে এক এক করে মোট ২৫টি বিষধর সাপ মারা হয়। পরে গর্তে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়। তবে এখনও মা সাপটিকে পাওয়া যায়নি। সাপগুলোর একেকটি লম্বায় প্রায় দেড় থেকে দুই ফুট লম্বা।
মাধনগর ইউনিয়নের ৫নং ওর্য়াড সদস্য জয়নাল আবেদিন জানায়, হাসানের বাড়িটি মাটির হওয়ায় ওই ঘরে অসংখ্য ইঁদুরের গর্ত রয়েছে। আর সেই গর্তগুলোতে সাপ বাসা বেধেছিল। তিনি আরও জানান, গ্রামবাসীর উদ্যোগে এমন সাপের গর্তের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর