শিল্প–সাহিত্য ডেস্ক:
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়িত হবে নাগরিক নাট্যাঙ্গনের ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’। দক্ষিণাঞ্চলের লোকগাথা অবলম্বনে পালাটির নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন হৃদি হক। বানেছা পরী চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন তিনি। গিলামাইট বনে বিশ্বিং বাদশার শিকার করতে যাওয়া দিয়ে গল্পের শুরু। শিকারের এক পর্যায়ে হরিণশাবকের দিকে তীর ছোড়েন তিনি। মানবসন্তানের কান্নায় বুঝতে পারেন, চরম ভুল হয়ে গেছে। অভিশাপ নিয়ে রাজ্যে ফেরেন তিনি। এর মধ্যে পুত্র সন্তান ঘরে আসে তার। রাজ্যজুড়ে যখন আনন্দের বন্যা, বাদশার মনে সন্তান হারানোর ভয়। পুত্রকে প্রাসাদের বাইরে যেতে দেন না রাজা। কিন্তু শত আয়োজনেও বাদশাহ কি আটকে রাখতে পারে তার নিয়তি। বারো বছর বয়সে বিশ্বিং যখন বড় ছেলে গহরকে রাজ্যের অধিপতি করে, তখন উজিরের চক্রান্তে গহর আবদার করে গিলামাইট বনে শিকার করতে যাবে। এভাবে এগিয়ে চলে নাটক। নাটকটি প্রসঙ্গে হৃদি হক জানান, লোকজ গল্প নিয়ে ঢাকার মঞ্চে এর আগে অনেক নাটক এলেও নাগরিক নাট্যাঙ্গনের কর্মীদের কাছে এ অভিজ্ঞতা প্রথম। মানুষের মনের খুব গভীরে পৌঁছানোর অভিপ্রায়ে এ গল্পকে বেছে নেওয়া হয়েছে। লোকজধারা ঠিক রেখে কিছুটা আধুনিকতার মিশেল আছে নাটকে। পোশাকে রঙের চাকচিক্য আছে। ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’র মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন সাজু খাদেম, সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রনি। আলো পরিকল্পনা ঠান্ডু রায়হান, কোরিওগ্রাফি ওয়ার্দা রিহাব ও পোশাক পরিকল্পনা মাহমদুল হাসানের।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ