২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:৪৯

কুষ্টিয়ায় রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢেউখেলানো সীমানাপ্রাচীর। আম, কাঁঠাল, জাম, জামরুল ও তালগাছের শীতল ছায়া। এটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়ি। কবির জীবন ও সাহিত্যের অনেক কিছুই এই বাড়ির সঙ্গে জড়িত।

. তৌহিদী হাসানকুষ্টিয়া জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর তীরে গেলে দেখা মিলবে কুঠিবাড়ির। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই কুঠিবাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করে। প্রতিবছর ২৫ বৈশাখ কবির জন্মবার্ষিকীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মানুষের পদচারণে মুখরিত থাকে কুঠিবাড়ি। তিন দিন ধরে সেখানে কবির লেখা গান, কবিতা ও নাটক পরিবেশন করে জেলার বিভিন্ন সংগঠন।

.

কবিগুরুর ব্যবহৃত খাট। ছবি: তৌহিদী হাসানকুঠিবাড়ি ও পদ্ম বোটে বসেই রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ‘সোনার তরী’, ‘শৈশব সন্ধ্যা’, ‘উর্বশী’, ‘দিন শেষে’, ‘দুই বোন’, ‘আবেদন’, ‘মানস সুন্দরী’, ‘নববর্ষা’, ‘আষাঢ়’, ‘বিরহ’, ‘পথ চাওয়া’, ‘মিলন’, ‘বিচ্ছেদ’, ‘উপহার’ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ। নাটকের মধ্যে ‘চিরকুমার সভা’, ‘গোড়ায় গলদ’ (প্রহসন), ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘রাজা’, ‘অচলায়তন’। ছোটগল্পের মধ্যে ‘কঙ্কাল’, ‘শান্তি’, ‘সমাপ্তি’, ‘ফেল’, ‘শুভদৃষ্টি’ ও ‘নষ্টনীড়’। এ ছাড়া কবি শিলাইদহে অসংখ্য গান লিখেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘আমার এই পথ চাওয়াতে’, ‘কে গো বিদেশি’, ‘তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে’, ‘এবার তোরা আমার যাবার বেলাতে’, ‘যদি জানতেম আমার কীসের ব্যথা’ ইত্যাদি।

.

ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র। ছবি: তৌহিদী হাসানকুঠিবাড়ির কামরার সংখ্যা ১৮। নিচতলায় ৯টি, দোতলায় ৭টি, তিনতলায় ২টি কক্ষসহ মোট ১৮টি কক্ষে ৮৩টি জানালা ও ১৮টি দরজা রয়েছে। কুঠিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত আসবাবপত্র আছে। আছে সেই সময়ের দুর্লভ ছবি, পালকি, পালঙ্ক, রবিঠাকুর যে নৌকায় চড়ে পদ্মায় ঘুরতেন, সেই নৌকাসহ অনেক কিছু।

.

রবিঠাকুরের সময়কার পানির ফিল্টার। ছবি: তৌহিদী হাসানকুঠিবাড়ির চারপাশে রয়েছে আম, কাঠাঁলসহ চিরসবুজ গাছ ও ফুলের বাগান। কবি যে পুকুরপাড়ে বসে কবিতা লিখতেন, সেখানে আছে সেই সময়ের লাগানো বকুলগাছ। মনোরম পরিবেশের এই কুঠিবাড়ি চত্বরে যে-কারও সারা দিন থাকতে ইচ্ছে করবে।

n/h=ddj

প্রকাশ :মে ৮, ২০১৭ ৩:৩৪ অপরাহ্ণ