আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তপ্ত দার্জিলিংয়ে শুক্রবার রাত থেকে পরবর্তী ১৭ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক ঘটনায় মোর্চার তিন ও জিএনএলএফের এক কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। আরও এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুইটি পৃথক ঘটনায় শনিবার সকালে সোনাদা, দুপুরে দার্জিলিং ও আশপাশের এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিকেলের দিকে গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে কালিম্পং এবং গরুবাথানেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় সেনা সদস্যদের। এর পরে রাতের দিকে কার্শিয়াংয়েও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘যদি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন, কথা বলতে চান, যে কোনও সময়ে বলা যায়। শান্তির পথে ফিরুন। ১০-১৫ দিনের মধ্যে পাহাড়ের দলগুলোকে আমি ডেকে নেব।’ পুলিশকে সংযত থাকার বার্তাও দিয়ে বলেন, ‘আমি চাই না, পুলিশ অসংযত হোক। পাহাড়ের দলগুলো ও প্রশাসনকে বলছি, সংযত থাকুন।তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে কেউ ছাড় পাবেন না।’
মোর্চার অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় সুরজ সুনদাস, আশা কুমার ও সমীর সুব্বারের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আর একজনের চিকিৎসা চলছে। সন্ধ্যার একটু আগে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। এদিকে পুলিশ অভিযোগ করেছে, কার্শিয়াংয়ের মহকুমা শাসকের দপ্তরে পেট্রোল বোমা ছুঁড়েছে মোর্চা সমর্থকরা। মহকুমা শাসকের দপ্তর লাগোয়া কার্শিয়াং সংশোধনাগার। নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে ওই এলাকায়।
মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গের দাবি, ‘সোনাদায় গোর্খাল্যান্ডপ্রেমী এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা জন আন্দোলন। কোনও দলের কৃতিত্বের কথা উঠছে কেন?’ তিনি আরও জানান, ‘সরকারি বাহিনী সরলেই বন্ধ উঠে যাবে। তাছাড়া রাজ্যের সঙ্গে নয়, আমরা আলোচনা করব কেন্দ্রের সঙ্গে। বিষয় হবে শুধুই গোর্খাল্যান্ড।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ