২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:১০
United Nations High Commissioner for Refugees, UNHCR, Filippo Grandi answers questions from reporters during a press conference Bangkok, Thailand, Friday, July 7, 2017. Before arriving in Bangkok the UN high commissioner had visited neighbouring refugees and leaders in neighbouring Myanmar. Grandi said he spent two days in Myanmar's Rakhine State where Muslim Rohingya are placed and being persecuted by the country's predominantly Buddhist population. The Rohingya have long been denied citizenship, freedom of movement and basic rights in Myanmar, a country that largely sees them as foreigners from neighbouring Bangladesh even though most were born there. (AP Photo/Sakchai Lalit)

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানে মিয়ানমারকে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা প্রধানের আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নির্যাতিত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব প্রদান করতে মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের শরণার্থী সমস্যা পর্যবেক্ষণে এসে গত শুক্রবার তিনি এই আহ্বান জানান।

এর আগে, তিনি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে ও মংদু অঞ্চল পরিদর্শন করেন। তিনি মিয়ানমারের ডিফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। শনিবার গ্র্যান্ডি বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে ২০১২ সাল থেকে একাধিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত ও প্রায় দেড় লাখ ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। বৌদ্ধ শাসিত মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের সামরিক শাসন অবসানের পর এসব দাঙ্গা শুরু হয়। কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের একটি ক্যাম্প উচ্ছেদের সময় তিন সেনা ও এক গ্রাম প্রশাসক নিহত হওয়ার পর পুনরায় উত্তেজনা শুরু হয়।
ব্যাংককে গ্র্যান্ডি সাংবাদিকদের বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই তারা নাগরিকত্ব বঞ্চিত রয়েছেন। মিয়ানমার প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমকে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসী বলে দাবি করে আসছে। কয়েক প্রজন্ম ধরে সেখানে রোহিঙ্গা পরিবার বাস করলেও তাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে দেশটির সরকার।
গ্র্যান্ডি জানান, এ অঞ্চলের সংঘাত নিয়ে আরো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার ইউনিয়নের সবচেয়ে দরিদ্রতম প্রদেশ হচ্ছে রাখাইন। অঞ্চলটির উন্নয়নে দ্রুত বিনিয়োগ দরকার, এটা দুই সম্প্রদায়কেই মেনে নিতে হবে। ইউরো নিউজ।
 দৈনিক দেশজনতা/এন আর
প্রকাশ :জুলাই ৮, ২০১৭ ৮:২৪ অপরাহ্ণ