আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হামবার্গে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের মধ্যে চলছে বিশ্বের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশসমূহের জোট জি২০ এর সম্মেলন। শুক্রবার সন্ধ্যায় জোটের ২০ রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা এক সুউচ্চ ভবনের উপরতলায় বসে বিটোফেনের সঙ্গীত উপভোগ করার সময় ভবনের নিচে ও আশেপাশে কয়েকহাজার বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের সাথে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তাদের ওপর পুলিশ কাঁদানো গ্যাস, কামানজল নিক্ষেপ করে। বৃহস্পতিবার রাতেই হামবুর্গের ঐতিহাসিক পোতাশ্রয় এলাকায় বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং শুক্রবার সকালে আল্টোনা জেলায় প্রতিবাদকারীরা গাড়ি পোড়ায় এবং দোকান ভাংচুর করে।বিক্ষোভকারীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় নদী পার হয়ে সড়কের সময় দুইপাশে কমপক্ষে ২০ টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ব্যাংক ও দোকানের জানালায় পাথর ছুঁড়ে মারে।বিক্ষোভকারীদের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প জি২০ সম্মেলন সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যেতে পারেননি ট্রাম্পের মুখপাত্র জানান, ‘গেস্ট হাউস থেকে বের হওয়ার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।’সহিংসতা রুখতে দেশটির উত্তরাঞ্চলের বন্দর নগরীটিতে ইতিমধ্যে ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।শুক্রবার বিকেলে হ্যামবার্গের নগর কর্তৃপক্ষ ১৬০ পুলিশ কর্মকর্তা আহত এবং ৭০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান। সম্মেলন পরিচালনার দায়িত্বপ্রধান জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল, এ সহিংস বিক্ষোভের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের প্রতি আমার সমর্থণ রয়েছে, কিন্তু সহিংস বিক্ষোভ মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে।”
সূত্র: গার্ডিয়ান, রয়টার্স
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ