২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:১৯

বেনাপোলে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলছে পরিবহন ধর্মঘট

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

গ্রিনলাইন পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর ও চারজন পরিবহন শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে বেনাপোলে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে । শনিবার সকাল থেকে এই ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

এদিকে সকালে বেনাপোলের প্রধান সড়কের ওপর পরিবহন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এর ফলে শত শত পাসপোর্টধারী যাত্রী আটকা পড়েছে বেনাপোল চেকপোস্টে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরও।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, শুক্রবার বিকালে ১০ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের (মেয়র সমর্থিত) নেতাকর্মীরা বন্দরে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি যখন বেনাপোল পরিবহন স্ট্যান্ডে আসে, তখন গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসের বক্সে যাত্রীদের ল্যাগেজ ওঠাচ্ছিলেন মোহন (৩৫) নামে এক শ্রমিক। এ নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে তার সামান্য কথাকাটি হয়। এর পরই ছাত্রলীগের কর্মীর উত্তেজিত হয়ে মোহনকে বেধড়ক মারপিট করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ওই বাসের চালক জামাল, সুপারভাইজার আলাল ও হেলপার লিয়াকতকে মারপিট করে আহত করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে তারা বিজিবি ক্যাস্পের সামনে গ্রিনলাইন কাউন্টার ভাংচুর করে। এ ঘটনার পরপরই পরিবহন শ্রমিকরা সড়কে গাড়ি রেখে অবরোধ করে যশোর-বেনাপোল সড়ক। ফলে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় বিজিবি‘র একটি প্রতিনিধি দল ভারত থেকে সীমান্ত সম্মেলন শেষ করে দেশে ফিরছিলেন। তাদের অনুরোধে পরিবহন শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়ে শনিবার সকাল থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক না করা পর্যন্ত বেনাপোল থেকে সব পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। শনিবারের পরিবহন ধর্মঘটের সমর্থনে মাইকেও প্রচার করা হয়।

বেনাপোল গ্রীনলাইন পরিবহনের ম্যানেজার রবীন বাবু বলেন, বিষয়টি ঢাকায় মালিককে জানানো হয়েছে। তারা ওখান থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক না করা পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে তিনি জানান।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। থানায় এখনো কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শ্রমিক সংগঠন ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি দেখা হবে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জুলাই ৮, ২০১৭ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ