নিজস্ব প্রতিবেদক:
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশের সহকারি কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলামের স্ত্রীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। রবিউল ইসলাম ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ তম ব্যাচের বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। গুলশান ট্রাজেডিতে জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে রবিউলের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের শিক্ষা শাখায় প্রশাসনিক অফিসার পদে নিয়োগ (এডহক ভিত্তিতে) দেয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় রবিউল ইসলামের স্ত্রী উম্মে সালমার হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
এর আগে ২০১৬ সালের ১লা অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের প্রশাসনিক অফিসার পদের জন্য আবেদন করেন তিনি। উক্ত পদে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষাজীবনের সকল পরীক্ষায় নূন্যতম দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। উম্মে সালমা শিক্ষাজীবনের একটি পরীক্ষা ব্যতিত সকল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
কিন্তু যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাঁকে গত বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে গ্রন্থাগার অফিসে উচ্চমান সহকারি পদে (তৃতীয় শ্রেণি) মাস্টাররোল ভিত্তিতে (কাজ করলে মজুরী) দৈনিক ৫২৫ টাকা মজুরিতে ৩ মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে উম্মে সালমা যে পদের জন্য আবেদন করেছিলেন সেই পদে নিয়োগ দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ এস এম আবু দায়েনের স্ত্রীকে।
এদিকে চাকরি নিয়ে এরূপ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। প্রশাসনের এ ধরনের কর্মকান্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ছাত্র-শিক্ষকরা। সমালোচনার মুখে আজ দুপুরে তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার নিয়োগ পত্র বাতিল ঘোষণা করে প্রথম শ্রেণির অফিসার পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর