নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস।যুদ্ধে আহতদের সেবার মহানব্রত নিয়ে হেনরি ডুন্যান্ট কর্তৃক ১৮৬৩ সালে গঠিত এ সংগঠন আজ সারাবিশ্বে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কোথাও রেড ক্রস, কোথাও রেড ক্রিসেন্ট নামে এর কর্মীরা আজ বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
ড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট মানবসেবার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। যুদ্ধে আহতদের সেবার মহানব্রত নিয়ে হেনরি ডুন্যান্ট কর্তৃক ১৮৬৩ সালে গঠিত এ সংগঠনটি আজ সারাবিশ্বে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। ৮ মে হেনরি ডুন্যান্ট এর জন্মদিনে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে। দেশের রেড ক্রিসেন্ট শাখাগুলোতে আলোচনা র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ বাণী প্রদান করেছেন।
প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশে দুর্যোগকালীন অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের কাছে তাদের সেবা পৌঁছে দিয়ে দেশবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সক্ষমতা অর্জনে এ সংগঠনটি যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তা দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’
যুদ্ধ, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট যে কোন দুর্যোগে অসহায় মানুষের দ্রুত চিকিৎসাসেবাসহ তাদের বেঁচে থাকার মৌলিক উপকরণ সরবরাহ করে এ সংগঠনটি মানবসেবার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা খুবই প্রশংসনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং সদ্যস্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে এ সংগঠনটি যুদ্ধাহত মানুষের পাশে থেকে আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করেছে।’
প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এর কার্যক্রমকে আরো সম্প্রসারিত করবে। মানুষকে আরো বেশি সেবা দিয়ে মানবতাকে সমুন্নত রাখবে। মানবসেবার পাশাপাশি আয়বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনার মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে।’
প্রধানমন্ত্রী রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্টের আত্মার শান্তি এবং বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০১৭-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
M/H