২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:৩৫

ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাসর’র সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাসর’র সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাউজা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি এক বিবৃতির মাধ্যমে ভারতকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘পাকিস্তানের এই স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ‘শীতল অবস্থাকে (কোল্ড ওয়াটার) আরো শান্ত’ (কোল্ড স্টার্ট) করতে সাহায্য করবে।’সামরিক শব্দ ‘কোল্ড স্টার্ট’ ভারতীয় সেনাবাহিনী সাধারণত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। খবর দ্য ডন, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও এনডিটিভির।পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেইন এবং প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। সফল উৎক্ষেপণে তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তারাপরমাণু বোমা বহন করে নাসর ৭০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। দ্রুত মোতায়েনযোগ্য ‘নাসর’ ক্ষেপণাস্ত্রের সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানার সক্ষমতা রয়েছে।পাকিস্তান সেনাবাহিনী চলতি সপ্তাহে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশিক্ষণমূলক পরীক্ষা চালিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সর্বশেষ নাসর’র পরীক্ষা চালানো হলো। তবে সেটি কোথায় পড়েছে তা জানানো হয়নি।পাক সেনাপ্রধানের বিবৃতিতে বলা হয়, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা বিরাজমান হুমকি মোকাবেলার সক্ষমতা বাড়াবে।উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে জেনারেল কামার জাভেদ বাওজা বলেন, ‘আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইসলামাবাদ যে কোনো পথ বেছে নেবে।’একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা বোঝাতে চেয়েছি যুদ্ধকে বেছে নেয়ার কোনো ইচ্ছা পাকিস্তানের নেই। সংলাপের মাধ্যমে শান্তি স্থাপনে সরকারের তৎপরতাকে সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে সমর্থন করে।’উঁচু মাত্রায় সামরিকীকরণ এবং যুদ্ধবাজ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে শান্তির নিশ্চয়তা দেয়া পাকিস্তানের কৌশলগত সক্ষমতা বলে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান।তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের কৌশলগত সক্ষমতা উঁচু মাত্রায় সামরিকীকরণ এবং যুদ্ধবাজ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।’পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা দিল্লি-ইসলামাবাদ দ্বন্দ্বকে তুঙ্গে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।১৯৯৮ সালে পাকিস্তান পরমাণু সক্ষমতা অর্জন করে। আর ভারত অর্জন করেছে ১৯৭৪ সালে। এরপর থেকে দু’দেশই নিয়মিতভাবে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জুলাই ৬, ২০১৭ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ