অনলাইন ডেস্ক
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, ইমানুয়েল ম্যাক্রন পেয়েছেন ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মারিন লো পেন পেয়েছেন ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। ফলে এই বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, ৩৯ বছর বয়সী সাবেক ব্যাংকার ইমানুয়েল ম্যাক্রন হচ্ছেন, ফ্রান্সের সবচেয়ে কম বয়সী প্রেসিডেন্ট।
বিবিসি এক খবরে জানায়, ফ্রান্সে রাজনৈতিক প্রধান দুটি ধারার বাইরে ইমানুয়েল ম্যাক্রনই প্রথম ব্যক্তি যিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এটি দেশটির কয়েক দশকের ইতিহাসে ব্যতিক্রম ঘটনা।
প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর ম্যাক্রন এক বিবৃতিতে বলেন, ফ্রান্সের ইতিহাসে নতুন কিছু রচনা হতে যাচ্ছে এবং তিনি এখানে আস্থা ও বিশ্বাসের পাতা হতে চান।
তিনি বলছেন, গণতন্ত্রের বড় লড়াইয়ের পর ফ্রান্সের মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে নির্বাচিত করেছে। এটা অনেক সম্মানের বলে সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখার অঙ্গীকার করেন ইমানুয়েল ম্যাক্রন।
প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর ইমানুয়েল ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জাঁ ক্লদ ইয়োঙ্কার।
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে ম্যাক্রনের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন উগ্র ডানপন্থী প্রার্থী মারিন লো পেন। হেরে যাওয়ার পর পেন বলেন, ফ্রান্সের এই ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফায় বড় পরিবর্তন ঘটেছে। বড় দুটি দলই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে দেশপ্রেমিক ও বিশ্বায়নবিদদের মধ্যে লড়াই হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্রান্সের যে রাজনৈতিক লড়াই শুরু হলো তাতে তিনি সব দেশপ্রেমিককে তার দলে চান।
নির্বাচনী প্রচারণায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ফ্রান্সকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন ম্যাক্রন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলায় কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর প্যারিসের লুভ মিউজিয়ামের সামনে এক সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি। ম্যাক্রনের দলে কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকা স্বত্বেও নতুন এক সরকার গঠন করবেন তিনি।
আগামী জুন মাসে দেশটিতে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনের মাধ্যমেই রাজনীতিতে নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করবেন ইমানুয়েল ম্যাক্রন।