নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশী আলুর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। মালয়েশিয়া,সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকাসহ বিশ্বের ৭টি দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশী আলু। আলু রফতানী বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে রফতানী আয়ও। এ ধারা অব্যাবহ থাকলে কৃষকরা উপকৃত হবে বলে মনে করেন আলু রফতানী প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তরা।
দেশীয় বাজারে সারা বছরেই ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আলুর। দেশীয় গন্ডি ছেড়ে এখন আর্ন্তজাতিক বাজারেও বেড়েছে বাংলাদেশে উৎপাদিত আলুর চাহিদা। ডায়মন্ড, গ্রানুলা, লরাসহ বিভিন্ন জাতের এসব আলুর রফতানী বেড়েছে গত বছরের তুলনায় প্রায় চারগুন। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রফতানী হয়েছে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশে উৎপাদিত আলু।
এদিকে আলুর গুনগত মান যথাযথভাবে পরীক্ষার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী আলুর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানী-রফতানী পণ্য পরীক্ষণ কেন্দ্র কোয়ারেন্টাইন স্টেশনের কর্মকর্তারা। একই কথা বলছেন আলু রফতানী কারকরাও।
মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং শ্রীলংকার বাজারেও বাংলাদেশী আলুর চাহিদা বেড়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দরের কোয়ারেন্টাইন স্টেশনের কর্মকর্তারা। এর ফলে এ খাত থেকে ৭৫ কোটি টাকা রফতানী আয় হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তরা।
বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশী আলুর বাজার ধরে রাখতে রফতানী প্রক্রিয়া আরো সহজ করার পাশাপাশি নিবিড় পর্যবেক্ষণের কথা বলছেন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে বাংলাদেশের কৃষকরা উপকৃত হবে বলেও মনে করেন তারা।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ