আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রোববার মধ্যরাতে ১৩ দাবি মানার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর কাতারকে নতুন করে আরও ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। অর্থাৎ আগামী বুধবার কায়রোতে সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যে বৈঠকে বসবেন, সেখানে এ সংক্রান্ত আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
তবে ইতোমধ্যে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস, মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার, আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করা এবং তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি তুলে দেয়াসহ যে ১৩টি শর্ত দিয়েছিল এই দেশগুলো, তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কাতার।
এদিকে ৩ জুলাই সোমবার সংকট এবং সৌদি ও তার মিত্রদের ১৩ দাবি নিয়ে নিজেদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া সংকট নিরসনে মধ্যস্থতাকারী কুয়েতকে জানাবে কাতার। সকালে দেশের পক্ষ থেকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুয়েতের আমিরের কাছে পাঠানো চিঠি পৌঁছে দেবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগ তুলে গত মাসে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং অবরোধ আরোপ করে। উপসাগরীয় ওই চারটি দেশের সাথে সংহতি জানিয়ে পরে লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপও কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। এর পর থেকেই মারাত্মক কূটনীতিক ও অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে কাতার।
যদিও কাতার তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করে এমন কোন শর্তের কাছে তারা নতি স্বীকার করবে না।
সূত্র: বিবিসি
দৈনিক দেশজনতা /এমএম