ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে গণধর্ষণ মামলায় ধর্ষিতার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আসামীদের বাদ দিয়ে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। ওই উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আলম আসামীদের কাছ থেকে প্রায় দশ লাখ টাকা নিয়ে মামলার চার্জসিট থেকে তাদেরকে বাদ দেয়ার পায়তারা করছে। রোববার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ধর্ষিতার পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে ধর্ষিতার চাচা বলেন, স্থানীয় কাঞ্চু বলী’র ছেলে মটর সাইকেল ড্রাইভার মোঃ নুরুন নবী গত ১০ মে ভিকটিমকে তার বাড়ী থেকে ঘুড়তে নেওয়ার কথা বলে পাশের ওয়ার্ডের একটি সুপারী বাগানে নিয়ে নুরুন নবী, নয়ন ও বেল্লাল মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেম্বার মোঃ আলম স্থানীয় লাইজু নামের এক মহিলার ঘরে ভিকটিম এবং তার পরিবারকে তিন দিন ধরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ ভিকটিমের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর ও টিপ সই রেখে দেয়। পরে এঘটনায় ৭ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। এতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন আসামী বাদ পরে যায়।
ভিকটিমের চাচা আরও জানান, যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারাও এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার দের মাসের বেশী সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি। মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে চার্জ সিট থেকে তাদের নাম বাদ দিতে আলম মেম্বার প্রায় দশ লাখ টাকা নিয়েছে। এখন আসামীরা ভিকটিমের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে ও গ্রাম থেকে চলে যেতে হুমকি দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভিকটিম ও ভিকটিমের মা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আলম মেম্বার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমন একটি ঘটনা আমি শুনেছি। থানায় মামলাও হয়েছে। কে বা কাহারা এটি করেছে তা আমি জানি না। আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি, ব্যবসা করে ভাত খাই। এগুলোর সাথে আমি জড়িত না।
লালমোহন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের জবানবন্দি অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর