আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফ্রান্সের ঘন জঙ্গলের মধ্যে ছবি তোলার জন্য ঘুরছিলেন ফরাসি চিত্রগ্রাহক মার্ক আস্কাত। হঠাৎ চোখে পড়ল গাছের আড়ালে এক বাড়ি। বাড়িটির সারা গায়ে ছেয়ে গেছে লতাপাতা আর শ্যাওলা। দূর থেকে দেখলে বোঝাই যাবে না যে এটি একটি বাড়ি। কাছে গিয়ে তাজ্জব হয়ে গেলেন মার্ক ও তার সঙ্গী। তারা আবিষ্কার করলেন এটা যে কোনো বাড়ি নয়, এটা একটা গোপন বাঙ্কার। ধারনা করা হচ্ছে ওই বাঙ্কারে আশ্রয় নিত নাৎসি বাহিনী। জার্মানির বাইরে এটাই অ্যাডলফ হিটলারের শেষ বাঙ্কার। সম্ভবত এই গোপন আশ্রয় থেকেই ইংল্যান্ড অভিযানের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
মাটির তলায় প্রায় একশ ফুট পর্যন্ত বিস্তৃত এই বাঙ্কার। এতে রয়েছে প্রায় ৬ মাইল পর্যন্ত লম্বা সুড়ঙ্গ। মূল দরজা দিয়ে বাঙ্কারে ঢোকার পর দেখা যায় ঘর, ছাদ ও দেয়ালজুড়ে ধূসর প্রলেপ। মেঝেতে বড় বড় গর্ত। আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মরচে পড়া যুদ্ধ সরঞ্জাম।
বাঙ্কারের সামনে আছে বিশাল বড় সুইমিং পুল। ধারনা করা হচ্ছে যুদ্ধের পরিকল্পনা করার পাশাপাশি রিফ্রেশমেন্টের জন্য সাঁতার কাটতেন জার্মান অফিসাররা। আর আছে শত্রুর চোখে ধুলো দেয়ার জন্য দুর্বোধ্য ভুলভুলাইয়া। যার হদিস জানতেন নাৎসি বাহিনীরাই।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ