রংপুর প্রতিনিধি :
রংপুরের পীরগাছার পল্লীতে শুক্রবার ভোরে ২ সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
হত্যাকান্ডের পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা স্বামী মিজানুর রহমান (৩০)কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
স্থানীয় ও থানা সূত্র জানায়, ৫ বছর আগে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের মহিষমুড়ী গ্রামের নিখোঁজ মজিবর রহমানের মেয়ে মিনারা বেগমের (২৩) একই ইউনিয়নের আনন্দীধনিরাম গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে দুই লক্ষ টাকা যৌতকের দাবিতে গৃহবধূ মিনারা বেগমের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সংসারের সুখের জন্য নিরুপায় হয়ে গৃহবধূ মিনারা বেগম তার বাবার বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়ে দিলেও এতে সন্তুষ্ট হয়নি তারা।
শুক্রবার মিজানুর রহমান তার দূর সম্পর্কের ভাই শহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় বাড়ির লোকজনসহ দুই লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ মিনারা বেগমকে বেদম মারপিট করে। এতে গুরুতর অসুস্থ হলে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মিনারা বেগমকে।
পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মিনারা বেগমের লাশ শয়ন ঘরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর স্বামী মিজানুর রহমান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করলে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ শুক্রবার সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার এবং জনতার হাতে আটক মিজানুর রহমানকে থানায় নিয়ে আসেন। এঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর