আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কাতারভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়ার দাবিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি অগ্রহণযোগ্য আক্রমণ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। লন্ডনভিত্তিক দ্য নিউ আরব (আল-আরাবি আল জাদেদ) সহ আল জাজিরা বন্ধের দাবিও ছিল কাতারকে দেয়া সৌদি আরব ও তার মিত্রদের ১৩টি শর্তের মধ্যে।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর- এ চারটি দেশ কাতারকে এই দাবি পূরণের জন্য ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, আগামী ৪ জুলাই এটি শেষ হবে।
আল জাজিরাসহ অন্যান্য সম্প্রচার বন্ধের দাবিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রে কাতারের দাবির প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান জেইদ রা’আদ আল-হুসেইন, তার মুখপাত্র রূপার্ট কলভিল এক বিবৃতিতে জানান।
তিনি বলেন, “আপনি দেখেন না, পছন্দ করেন না বা সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গেও একমত নন কিন্তু আল জাজিরার আরবি এবং ইংরেজি চ্যানেল বৈধ এবং তাদের লাখো দর্শক আছে। সেইসাথে এসব বন্ধের দাবি আমাদের দৃষ্টিতে মতপ্রকাশের অধিকারের উপর অগ্রহণযোগ্য আক্রমণ, স্পষ্টভাবে অযৌক্তিক।”
তিনি বলেন, “এই ধরনের চ্যানেল বন্ধ করার জন্য জোরাজুরি করা অসাধারণ, অভূতপূর্ব এবং স্পষ্টভাবে অযৌক্তিক।”
তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেন, যদি কাতার দাবি পূরণ করতে গিয়ে আল জাজিরা বন্ধে এগিয়ে যায় তাহলে অন্যান্য শক্তিশালী রাষ্ট্র ও গোষ্ঠিগুলো ভিন্ন রাষ্ট্রের মতপ্রকাশের অধিকার হস্তক্ষেপের সুযোগ পাবে।
৫ জুন, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান কয়েকটি আরব রাষ্ট্র প্রতিবেশী কাতারের সাথে সকল ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তারা কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সহযোগিতার অভিযোগ আনলেও তা অস্বীকার করেছে দেশটি। গত সপ্তাহে এ কূটনৈতিক সংকট নিরসনে কাতারকে সৌদি মিত্র ১৩ টি শর্ত দিয়েছে। এর আগে কাতারের সাথে সকল ধরনের আকাশ ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে উল্লেখ্য আরব দেশগুলো। সেইসাথে কাতারভিত্তিক আল জাজিরাসহ সব ধরনের সংবাদ মাধ্যমও বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ