নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেছেন, এ বাজেট বাস্তবে ধনীকে আরো ধনী, গরীবকে আরো গরীব করবে। কথার ফুলঝুড়ির আড়ালে উন্নয়নের নামে লুণ্ঠনকেই বৈধতা দেবে। তিনি এই সরকারের ধনিক তোষণের বাজেট ও গণবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে বাম-প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাসদ নেতা একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে দীর্ঘ এক মাস তথাকথিত আলোচনার পর যে বাজেট পাস করা হয়েছে, তা পর্বতের মুষিক প্রসব ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর ভ্যাট আইন দুই বছর কার্যকর না করা, ব্যাংকের আবগারী শুল্ক না বাড়ানোর মাধ্যমে যে বাজেট পাস হয়েছে তাতে সরকারের উদ্দেশ্য পুরো সফল হয়েছে।
খালেকুজ্জামান বলেন, বাজেট প্রস্তাবে ইচ্ছা করেই ভ্যাট বাড়ানো, আবগারী শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছিল যাতে জনগণের দৃষ্টি এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আর সরকারি-বেসরকারি সাংসদরা এটা নিয়েই আলোচনায়-সমালোচনায় সংসদ গরম করে রাখে যাতে অন্যদিকে কৃষি-শিক্ষা-চিকিৎসাসহ জনগণের জন্য বরাদ্দ যে আনুপাতিক হারে কমিয়ে দেয়া হয়েছে সেদিকে যেন জনগণের দৃষ্টি না যায়।
খালেকুজ্জামান বলেন, এটা করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে বলীর পাঠা বানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ত্রাণকর্তা হিসেবে দেখিয়ে সরকার এক ঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনা করেছে।
খালেকুজ্জামান বলেন, পাস করা বাজেটে ব্যাংক লুটের টাকা জনগণের পকেট থেকে নিয়ে ভরার ব্যবস্থা করা হয়েছে, খেলাপী ঋণ অবলোপনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পোশাকশিল্প মালিকদের জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে। অথচ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের যেমন রাজনৈতিভাবে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই, তেমনি বাজেট প্রণয়নেও কোনো জবাবদিহিতা নেই।