দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আবারো বললেন, একটি চক্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি। এছাড়া দেশে এই মুহূর্তে যথেষ্ট চালের মজুদ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
কামরুল ইসলাম বলেন, অতি সম্প্রতি চালের দাম বাড়ায় সংসদ সদস্যরা তাঁর প্রতি বিষোদ্গার করেছেন। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং বিদেশে চাল রপ্তানির যোগ্যতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে, সেটা ঠিক। তবে এবার হাওরে আগাম বন্যায় প্রায় ছয় লাখ মেট্রিক টন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে আরও কিছু জায়গায় ফসল নষ্ট হয়েছে। আর এবার ফলনও কিছু কম হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে চালের দাম বাড়িয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কোনো রকম সংকট নেই। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের মজুত নিয়ে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন।ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল দ্রুত আসবে। এ ছাড়া টেন্ডারে আরও চার লাখ মেট্রিক টন চাল আসবে।
দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আবারো বললেন, একটি চক্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল।
কামরুল ইসলাম বলেন, তিনি গত এপ্রিলে আবেদন করেছিলেন আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য। কিন্তু সেটি তখন করা হয়নি। এর কারণ, প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেছেন কৃষকদের বাঁচতে হবে। তাঁদের উৎপাদন খরচ উঠে আসতে হবে। কিন্তু তখন শুল্ক কমালে চালের দাম পড়ে যেত।
চাল আমদানির বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লক্ষ টন চাল চলে আসবে। চালের জন্য আমরা যে টেন্ডার দিয়েছিলাম তাও চলে আসছে। মোট চার লক্ষ মেট্রিক টন চাল আমাদের পাইপলাইনে আছে। এখন আমরা থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে চাল আমদানির চিন্তা ভাবনা করছি।’
দৈনিক দেশজনতা/এন আর