অর্থনীতি ডেস্কঃ
২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে মোট ৩ হাজার ২৩০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত আট ব্যাংক। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে জনতা ব্যাংক। মোট মওকুফকৃত সুদের প্রায় ৪৩ শতাংশ জনতা ব্যাংকের। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সুদ মওকুফের এ তথ্য তুলে ধরেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, সোনালী ব্যাংক গত পাঁচ বছরে ৫৯৪ কোটি টাকার মতো সুদ মওকুফ করেছে। জনতা ব্যাংক করেছে ১ হাজার ৩৮১ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া অগ্রণী ৬৩৮ কোটি, রূপালী ৩৭৪ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৭৪ কোটি ৫৪ লাখ, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১৭ কোটি ৯১ লাখ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১১৭ কোটি ৬৩ লাখ ও বেসিক ব্যাংক ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকার সুদ মওকুফ করেছে।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় সুদ মওকুফ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। বিভিন্ন খাতে ব্যাংক অর্থায়ন করে থাকে। অনেক সময় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা লাভজনক না-ও হতে পারে। আবার অনেক গ্রাহক ব্যবসায় লোকসান গুনতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলেও ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ হয়ে পড়তে পারে। সেসব ক্ষেত্রে ব্যাংকের টাকা পুনরুদ্ধারে অনেক সময় সুদ মওকুফের বিষয়টি চলে আসে। তবে এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা রয়েছে। চাইলেই যেকোনো সুদ মওকুফের সুযোগ নেই।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সুদ মওকুফ-সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করেই ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ঋণের বিপরীতে সুদ মওকুফ করে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর কস্ট অব ফান্ড আদায় নিশ্চিত করা এবং ব্যাংকের আয় হিসাব ডেবিট না করে আরোপিত সুদ মওকুফ এবং অনারোপিত সুদ মওকুফের বিষয়ে ব্যাংক অথবা পর্ষদ প্রতিটি কেসের যথার্থতা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে বলা হয়েছে। তবে খেলাপি ঋণের সুদ মওকুফের বিষয়ে বেশকিছু শর্তের কথা বলা আছে নীতিমালায়। সেসব শর্তের মধ্যে রয়েছে— সুদ মওকুফোত্তর অবশিষ্ট অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। সাধারণত এ সময়সীমা ৯০ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে রাখার কথা বলা আছে নীতিমালায়।
N/R